ঢাকাঃ দেশজুড়ে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর সংক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায়ও মশাবাহিত রোগটি নিয়ে ১৪৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪১০ জনে। একই সময়ে এসিড মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে আরও দুইজনের প্রাণহানি ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে নতুন করে আরও ১৪৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ১০৪ জন ঢাকায় চিকিৎসাধীন। বাকি ৪১ জন রাজধানীর বাইরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। একই সময়ে মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
বর্তমানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ১ হাজার ৪১০ জন ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৫৩টি ডেঙ্গু ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১ হাজার ১১ জন। এছাড়া ঢাকার বাইরে ৩৯৯ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৭ হাজার ৭৫৪ জন। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৬ হাজার ২৯৭ জন। আর চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৪৭ জন।
প্রতিবছর বর্ষাকালে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময়ে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরমধ্যে গত বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা গেছেন।
বুইউ