Dr. Neem on Daraz
Victory Day

দেশে আরও দ্বিগুণের বেশি নার্স প্রয়োজন : স্বাস্থ্যমন্ত্রী


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৩, ০২:০৪ পিএম
দেশে আরও দ্বিগুণের বেশি নার্স প্রয়োজন : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকাঃ দেশে বর্তমানে যে পরিমাণ নার্স রয়েছে, তার চেয়ে আরও দ্বিগুণের বেশি প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আমরা গত দশ বছরে ৩৪ হাজার নিয়োগ দিয়েছি। পর্যায়ক্রমে চাহিদামতো আরও নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকালে রাজধানীর ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি, ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি ও বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সের ২৭তম কমপ্রিহেনসিভ (লাইসেন্সিং) পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

স্বাস্থ্যসেবায় নার্সরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জানিয়ে তিনি বলেন, একজন রোগীকে ডাক্তার শুধু দেখে যায়, তবে নার্সরা তাদের সার্বক্ষণিক সেবা দেয়। আমরা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর স্পেশালাইজড নার্স তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছি। এতে নার্সিং সেবা অনেকদূর এগিয়ে যাবে। তবে নার্সদের আরও আন্তরিকতার সঙ্গে রোগীদের সেবা দিতে হবে।

বিদেশে বাংলাদেশি নার্সের চাহিদা অনেক জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, আমরাও চাই আমাদের নার্সরা বিভিন্ন দেশে সেবা দিয়ে বাংলাদেশের সম্মান বয়ে আনুক। এজন্য তাদেরকে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের আওতায় এনে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে ৮৫ হাজার নার্স কাজ করছে। এর মধ্যে ৪৫ হাজার সরকারি, আর বাকিরা বেসরকারি। দেশে নার্সদের ৩৫০টি ইনস্টিটিউটে ৩৪ হাজার সিট আছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সেবার মান বাড়াতে হলে নার্সের সংখ্যাও বাড়াতে হবে। করোনায় নার্সদের ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন তিনি। জাহিদ মালেক বলেন, করোনার সময় অনেকে সেবা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যুও হয়েছে। এরপরও তারা সেবা দিয়ে গেছেন।

চিকিৎসকদের ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় বলেন, সাধারণত সরকারি হাসপাতালগুলোতে দুপুর ২টার পরে কোনো চিকিৎসক থাকেন না কিন্তু রোগী তখনও থাকে। জাহিদ মালেক আরও বলেন ‘সেকারণে হাসপাতালগুলোতে প্রাতিষ্ঠানিক চেম্বার কার্যক্রম শুরু করেছি। একজন চিকিৎসক বাইরে যে সময় দেন, সেটাই এখানে দেবেন। এতে করে হাসপাতালে যেসব রোগী ভর্তি থাকে, তারাও সেবা নিতে পারবে।’

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ও বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধিভুক্ত দেশের সরকারি-বেসরকারি নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কোর্স সম্পন্নকারীদের ২৭তম কম্প্রিহেন্সিভ (লাইসেন্সিং) পরীক্ষা ৪টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে অংশগ্রহণ করেছে ৩টি কোর্সের ১১ হাজার ৯০৪ জন পরীক্ষার্থী।

নার্সিং ইনস্টিটিউটের পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনের সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আরও ছিলেন বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর, এনডিসি মহাপরিচালক সাহান আরা বানু প্রমুখ।

বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে