ঢাকাঃ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় সরকার কিছুটা চিন্তিত বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, করোনা এখন ঊর্ধ্বমুখী। আমরা কিছুটা চিন্তিত তবে শঙ্কিত নই। আমরা প্রস্তুত আছি।
বুধবার (২৯ জুন) স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সঙ্গে আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা প্রধানদের ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, হাসপাতালগুলো রোগীদের চিকিৎসায় প্রস্তুত রয়েছে। সংক্রমণ রোধে গত সপ্তাহে আমরা সভা করেছি। সেখানে কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। অফিস, স্কুলে মাস্ক পরে যাবেন। ট্রেনে-বাসে মাস্ক পরতে হবে। গত সপ্তাহে এ বিষয়ে অনুরোধ করেছি। কেবিনেটসহ বিভিন্ন জায়গায় চিঠি দিয়েছি। জনগণ এই নির্দেশনা পালন করবে বলে প্রত্যাশা করছি। গত দু/তিনদিন ধরে দুই-তিনজন করে মারা যাচ্ছেন। সবার প্রতি আহ্বান, আপনার মাস্ক পরুন, টিকা নিন।
তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণের হার গত ১৫ দিন অনেক কম ছিলে। এখন অনেক বেশি। এটার লাগাম টেনে ধরতে চাই, তবে আমাদের একার পক্ষে সম্ভব নয়। জনগণের সচেতনতা ও মাস্ক পরিধান করা জরুরি। সেটি হলে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
মাস্ক না পরলে শান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাস্ক পরিধান করতে নির্দেশনা দিয়েছি। একটি চিঠি মন্ত্রপরিষদ থেকে দিয়েছে। আমাদের সুপারিশ থাকে মাস্কটা শাস্তি দিয়ে নয়, আহ্বান করবো সবাই মাস্ক পরবে। তবুও ব্যত্যয় ঘটলে সরকার ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করবে না।
এপিএ চুক্তি প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, এখন ভ্যাকসিন দেওয়া এবং করোনা নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ কাজ। জনবল নিয়োগও গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এজন্য পরিকল্পনা নিতে হবে। এরপর মাঠে নামতে হবে।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাতে কাজ সম্পন্ন হয়, সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের তাগিদ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে জুলাই মাসের শেষ দিকে ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, শিশুদের জন্য টিকা জুলাইতে হাতে আসবে। আর মাসটির শেষের দিকে এই কার্যক্রম চালু করা যাবে।
এমবুইউ