ঢাকাঃ রাজধানীসহ সারাদেশে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক টিকাদান কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ও ১৮ মার্চ প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়। এক বছর পর গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। সর্বশেষ সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন প্রকারের ১৭ কোটি ৫০ লাখ ৮১ হাজার ২৬২ ডোজ টিকাদান করা হয়।
মোট টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে প্রথম ডোজ ১০ কোটি ৯ লাখ ১১ হাজার ২১ জন, দ্বিতীয় ডোজ ৭ কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ৭২১ জন এবং বুস্টার ডোজ গ্রহণকারীর সংখ্যা ২৬ লাখ ৯৪ হাজার ৫২০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান এ তথ্য জানান।
দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরুর দিকে শুধুমাত্র ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া হতো। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে ফাইজার, মর্ডানা, সিনোফার্ম এবং সিনোভ্যাক এবং জনজন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি দেশের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে করোনার টিকার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যে টিকা ক্রয়সহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সহজ ছিল না। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিভাগ সফলতার সঙ্গে টিকাদান কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে।
রাজধানীসহ সারাদেশে গত ২৪ ঘন্টায় (১৪ ফেব্রুয়ারি) ৯ লাখ ৭১ হাজার ৩২০ ডোজ টিকা দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রথম ডোজ ২ লাখ ৪১ হাজার ৬০৯টি, দ্বিতীয় ডোজ ৬ লাখ ৩২ হাজার ১২৬টি এবং বুস্টার ডোজ দেওয়া হয় ৯৭ হাজার ৫৮৫ ডোজ।
আগামীনিউজ/এমবুইউ