ঢাকাঃ দাম্পত্য কলহ নিয়ে পরীমণি যতটা সরব ছিলেন শরিফুল রাজ ছিলেন ততটাই নীরব। সংসারের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে রাজের বিরুদ্ধে মারধোরের অভিযোগ এনে ঘর ছাড়েন পরী। তখনও আত্মপক্ষ সমর্থন করেননি এ নায়ক। এবার তিনি মুখ খুললেন। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন অজ্ঞাতনামা গডফাদারদের প্রতি।
নিজের ফেসবুকে রাজ লিখেছেন, ‘হ্যালো গডফাদারস এন্ড গং, আমি তোমাদের দেখতে চাই। আমি ঢাকায় থাকি। আমি চিয়ার্স করতে চাই।’
এর অর্থ কী? এ ঘটনার নেপথ্যে কোনো গডফাদার রয়েছেন? নাকি শরীফুল রাজ কোনো গডফাদারের হুমকি পেয়েছেন?
রাজের পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে তিনি হয়তো হুমকি পেয়েছেন বা পাচ্ছেন। তার জবাবেই এসব কথা লিখেছেন। এবং সেই উড়ো হুমকিদাতাদের সরাসরি দেখেও নিতে চান রাজ।
সাংসারিক গোলযোগ নিয়ে খুব একটা বাক্য খরচ করেননি রাজ। স্ত্রী পরীমণি যখন তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে তুলকালাম শুরু করেন তখন তিনি শুধু বলেছিলেন, ‘মাই বেডরুম ইজ প্রাইভেট, ভেরি প্রাইভেট। নট ফর পাবলিক। বাট আমার বেডরুম নিয়ে সবাই মজা নিচ্ছে এখন। পরী এখন যা করছে বা তার যা মন চায় করুক। তবে এটুকু স্পষ্ট করি, আমি কোনো ভুল করিনি এবং আমাদের আর এক হওয়া হবে না।’
রাজ-পরীর সংসার বিষয়ক জটিলতা প্রকাশ্যে আসে ২০২২ সালে শেষ দিন। তবে তা ছিল পরীর দিক থেকে। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে পরীমণি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন, ‘হ্যাপি থার্টি ফার্স্ট এভরিওয়ান! আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে।’
তারপর শনিবার রাতে পরীমণি জানান, অভিমান ভুলে রাজের কাছে ফিরে গিয়েছেন। কিন্তু এর কয়েকঘণ্টা পর মধ্যরাতে ফেসবুকে রক্তাক্ত বিছানা ও কোলবালিশের ছবি প্রকাশ করেন তিনি। ক্যাপশনে লেখেন, ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার। আগামীকাল সংবাদ সম্মেলন, লোডিং…।’
গত বছরের ১৭ অক্টোবর গোপনে একে অপরকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বিয়ে করেন পরীমণি ও রাজ। তবে খবরটি প্রকাশ্যে এনেছেন এ বছরের ১০ জানুয়ারি। একই দিন আরও ঘোষণা করেন, সন্তান আসছে তাদের ঘরে। এরপর ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও করেন তারা। চলতি বছরের ১০ আগস্ট পরীমণির কোলজুড়ে আসে রাজ্য।
বুইউ