ঢাকাঃ চলতি আগস্ট মাসে এসে অনেক কিছুই খুলে যাচ্ছে যদিও করনা এখনও বাংলাদেশকে ছাড়েনি। মানুষ করনা পরিস্থিতিকে অনেকখানি বুঝে গেছে। মানুষের মুখে মাস্ক না থাকলে এখন বাইরে বের হলে বোঝার উপায় ছিল না, যে এটা করনাকালীন সময়। সবখানেই মানুষের অবাধ যাতায়াত চলছে। সামাজিক দূরত্ব কথাটা পুরানো হয়ে গেছে।
প্রায় সবকিছুর মত মঞ্চ নাটকও বন্ধ ছিল এতদিন। গতকাল(২৮শে আগস্ট) খুলে গেল সেই মঞ্চ।
রাজধানীর বেইলি রোডের মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মোমেনা চৌধুরী অভিনীত একক নাটক ‘লাল জমিন’ মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে আবারও শুরু হয়েছে মঞ্চ নাটক প্রদর্শনী।
শূন্যন রিপারেটরি থিয়েটারের ‘লাল জমিন’ নাটকটির ২৪৪তম মঞ্চায়ন হয়েছে শুক্রবার। মান্নান হীরার রচনায় যার নির্দেশনা দিয়েছেন সুদীপ চক্রবর্তী।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে নাটকটি মঞ্চায়িত হয়েছে। মিলনায়তনে দুই আসন পর পর একজন করে দর্শক বসেছে ৷ নাটকটি দেখতে আসা দর্শককে অবশ্যই মাস্ক পড়তে হয়েছে । সেইসঙ্গে প্রবেশমুখে শরীরের তাপমাত্রা মাপা হয়েছে ও হাতে এবং পায়ে স্যানিটাইজার, জীবাণুনাশক দেওয়া হয়েছে। মাস্ক ছাড়া কোনো দর্শককেই মিলনায়তনে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি৷
নিজের একক নাটক মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে মঞ্চ নাটক আবারো চালু হওয়ায় দারুণ উচ্ছ্বসিত মোমেনা চৌধুরী।
মোমেনা চৌধুরী বলেন, প্রথম যেদিন মঞ্চে উঠেছিলাম, অভিনয় করেছিলাম সেদিনের মত অনুভুতি হচ্ছে। এ পাঁচ মাস বহু মানুষ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন ৷ আমিও চলে যেতে পারতাম। কিন্তু আমি বেঁচে আছি এবং আবারও ‘লাল জমিনে’ অভিনয় করছি।
‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে নাটক মঞ্চায়ন এক ভিন্ন অনুভূতি। সামনে বসা মানুষগুলোর মুখটা দেখতে পারবো না। তারপরও মঞ্চ নাটক চালু হচ্ছে এটাই আনন্দের।’
কিশোরী একটি মেয়েকে ঘিরে ‘লাল জমিনে’র গল্প আবর্তিত হয়েছে। শুধু মুক্তিযুদ্ধ নয়, তারপর আরও কয়েকটি দশক। সেই কিশোরীর মনে জেগেছে নতুন কিছু প্রশ্ন।
নাটকটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন জুলফিকার চঞ্চল ও রমিজ রাজু। কণ্ঠ দিয়েছেন বারী সিদ্দিকী, রমিজ ও নীলা। লাইটে কাজ করেছেন জয়, আতিক ও মির্জা শাকিব। কস্টিউম ডিজাইন করেছেন ওয়াহিদা মল্লিক জলি এবং তাকে সহযোগিতা করেছেন নীলা মমতাজ। সেট নির্মাণ করেছেন জুয়েল, সানী ও আসাদ।
আগামীনিউজ/ড্যানি