Dr. Neem on Daraz
Victory Day

তারকারা ধর্ম নিয়ে উদাসীন নয়: স্বর্ণা


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: মে ১, ২০২০, ০৮:২০ পিএম
তারকারা ধর্ম নিয়ে উদাসীন নয়: স্বর্ণা

ঢাকা: তারকাদের ধর্ম কর্ম নিয়ে ভক্তদের অনেক কৌতূহল। অনেকেই মনে করেন মিডিয়াতে কাজ করা তারকারা ধর্ম নিয়ে উদাসীন। কিন্তু এটি ভুল ধারণা। সব তারকাই যার যার ধর্ম পালন করে থাকেন।

মুসলিম তারকারাও রোজা রাখেন। রোজা নিয়ে শুটিং করেন, ব্যস্ত থাকেন নানা রকম কাজে। আর সবার মতো তাদেরও আছে রোজা রাখার অনেক মজার স্মৃতি। যা ফেলে আসা শৈশবে পড়ে আছে সোনালি স্মৃতি হয়ে।

অভিনেত্রী রোমানা স্বর্ণা তেমনি কিছু অভিজ্ঞতা জানালেন রোজা নিয়ে-

প্রথম রোজা রাখা হয় কত বছর বয়সে?

স্বর্ণা: প্রথম রোজা রেখেছিলাম দশ বছর বয়সে।

প্রথম রোজার দিনটি কেমন ছিলো, মজার কোনো স্মৃতি কী আছে ?

স্বর্ণা: আম্মু বার বার নিষেধ করছিলেন রোজা রাখতে।বলতে গেলে একরকম জ্বর করে রোজা রেখেছিলাম।তারপর আম্মু সেহরির খাওয়ার জন্য  ডেকেছিলেন। সেহরি খেতে খুব কষ্ট হলেও ঘুম-ঘুম চোখ তবুও খেলাম সেহরি। দুপুর ১২টার পর থেকে কেমন যেনো মাথা ঘুরতে থাকলো। আমি কেমন যেনো করতে থাকলাম। তখন আমার দাদি জীবিত ছিলেন। আমার ওই অবস্থা দেখে দাদি আম্মুকে বল্লো ওকে রোজা রাখতে দিয়েছো কেনো বলেই একটু বকা দিলেন আম্মুকে।তারপর দাদি নিজ হাতে তাড়াতাড়ি শরবত বানিয়ে খাইয়েদিলেন। দাদি তখনই বল্লো তোমাকে আর রোজা রাখতে হবে না। আরও বড় হয়ে রোজা রেখো।দাদির এই আহ্লাদে লাই পেয়ে গেলাম। আর তারপর থেকেই পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকেও কম রোজা রাখতাম।

প্রথম ইফতার?

স্বর্ণা: ইফতারি ছোটবেলা থেকে নিয়মিত করতাম।রোজা রাখলেও করি না রাখলেও করি।ইফতারি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতাম পরিবারের সবার সাথে ইফতারি করার মজাটাই আলাদা ছিল।

প্রথম সেহরি?

স্বর্ণা: সেহরি করার সময় খুব কষ্ট হতো ঘুম ভাঙতো না।কিছু খেতেও ইচ্ছে করতোনা।তবুও খুব এনজয় করতাম ছোটবেলায় বিষয়টি। 

ছোটবেলা এবং বড়বেলার রমজানের কী পার্থক্য খুজে পান?

স্বর্ণা: ছোটবেলায় রোজা রাখতাম সবাইকে দেখানোর জন্য। যে আমিও রোজা রাখতে পারি।আমার ভাই-বোন কাজিনদের মধ্যে একটা প্রতিয়োজগীতা ছিল ছোটবেলায়। কিন্তু এখন রোজা রাখি শুধু আল্লাহ্ দেখানোর জন্য। কোনো মানুষকে দেখানোর জন্য নয়।

চলতি রমজান উপলক্ষে বিষয়ে কী প্রার্থনা করবেন ? 

স্বর্ণা: এবার রোজাতে অনেক ধরনের দোয়া করছি সৃষ্টিকর্তার কাছে। তারমধ্যে বিশেষ দোয়া হচ্ছে আমার দেশে এবং গোটা বিশ্বের সব মানুষ যেনো আল্লাহ্ এই মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে সবাইকে খুব শিগগিরই মুক্তি দেন। আল্লাহ্ যেনো করোনায় কারো উছিলায় এই ভাইরাসের ঔষধ আবিস্কার করার ক্ষমতা দেন। আর পৃথিবীর সব মানুষকে করোনা থেকে সহজে মুক্তি দেয়। আগের মতো যেনো আমার সবাই সাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারি।

আগামী নিউজ/ সুমন/ তাওসিফ
 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে