Dr. Neem on Daraz
Victory Day

অ্যাসিডকাণ্ডে ১৪ বছর সাজা হতে পারে কণ্ঠশিল্পী মিলার


আগামী নিউজ | বিনোদন ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২১, ০৯:৩২ এএম
অ্যাসিডকাণ্ডে ১৪ বছর সাজা হতে পারে কণ্ঠশিল্পী মিলার

ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ সাবেক স্বামী পারভেজ সানজারীকে এসিড নিক্ষেপের মামলায় কণ্ঠশিল্পী তাশবিহা বিনতে শহীদ মিলা এবং তার সহযোগী কিমজন পিটার হালদার ওরফে কিমের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু করেছেন আদালত।

ঢাকার এসিড অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া রোববার মিলা এবং কিমের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। তাদের বিরুদ্ধে যে ধারায় চার্জগঠন করা হয়েছে, সেই ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সাজা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকার এসিড অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনোয়ার উল্লাহ বলেন, ‘সঙ্গীতশিল্পী মিলা ও তার সহযোগী কিম জন পিটার হালদারের বিরুদ্ধে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইন ২০০২ সালের ৫ (খ) ও ৭ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। এ ধারাগুলোর সর্বনিম্ন শাস্তি ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের সর্বোচ্চ সাজা ১৪ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।’

তিনি বলেন,‘মামলাটি সেনসিটিভ। আসামিও একজন শিল্পী। তারপরও আসামি তো আসামি। যেই অপরাধ করুক না আইনের আওতায় তাকে আসতেই হবে। শিল্পী হলেও মিলার জন্য কোনো অনুকম্পা নেই।  আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন হয়ে গেছে।  এখন রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সাক্ষীদের আদালতে হাজির করে মামলাটির বিচার যেন দ্রুত শেষ হয় এবং আসামিদের যেন সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত হয় সে লক্ষ্যে কাজ করে যাব’।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে তাদের সর্বোচ্চ সাজা ১৪ বছর হতে পারে। সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিতে আমরা লড়াই করে যাব। মামলাটি এসিড নিক্ষেপের। অপরাধী ছেলে হোক বা মেয়ে হোক। এখানে সাজার ক্ষেত্রে কোনো অনুকম্পা নেই।  আশা করছি, আসামিদের ১৪ বছর সাজা হবে।  দৃষ্টান্তমূলক সাজা হলে পরবর্তীতে আর কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর সাহস পাবে না।’

মিলার আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ হয়ে গেছে। আমরা মামলাটি আইনগতভাবে মোকাবিলা করব। নির্দোষ প্রমাণে আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।’

অ্যাসিড অপরাধ দমন আইন ২০০২ সালের ৫ (খ) ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি কোনো অ্যাসিড দ্বারা অন্য কোনো ব্যক্তিকে এমনভাবে আহত করেন, যার ফলে তার শরীরের অন্য কোনো অঙ্গ, গ্রন্থি বা অংশ বিকৃত বা নষ্ট হয় বা শরীরের কোনো স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হন তাহলে অনাধিক চৌদ্দ বছরের কিন্তু নিম্ন ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং পঞ্চাশ হাজার টাকার অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।

অ্যাসিড অপরাধ দমন আইন ২০০২ সালের ৭ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি এ আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করেন এবং সেই সহায়তার ফলে উক্ত অপরাধ সংঘটিত হয় বা অপরাধটি সংঘটনের চেষ্টা করা হয়, তাহলে ঐ অপরাধ সংঘটনের জন্য বা অপরাধটি সংঘটনের চেষ্টার জন্য নির্ধারিত দণ্ডে সহায়তাকারী ব্যক্তি দণ্ডিত হবেন।

মিলার সাবেক স্বামী এসএম পারভেজ সানজারীকে এসিড নিক্ষেপের মামলায় তার বাবা এসএম নাসির উদ্দিন উত্তরা পশ্চিম থানায় ২০১৯ সালের ৪ জুন মামলাটি দায়ের করেন।

আগামীনিউজ/নাসির

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে