ঢাকাঃ গণমাধ্যমে বোট ক্লাবের সিসিটিভি ক্যামেরার যে ফুটেজ প্রকাশ করেছে করা হয়ে, সেখানে অচেতন অবস্থায় পরীকে কোলে করে দৌড়ে বেরিয়ে আসার একটি দৃশ্য দেখা গেছে।
ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ৯ জুন রাত ১২ টা ২২ মিনিটে ঢাকা বোট ক্লাবের সামনে একটি কালো গাড়ি দাঁড়ায়। নামতে দেখা যায় পরীমনি, জিমি ও অমিকে। কিছুক্ষণ পর গাড়ি থেকে বের হন বনিও। ক্লাবের রিসিপশনেও অমির সঙ্গে পরীমনিসহ অন্যদের ঢুকেতে দেখা যায়। সেখানে আগে থেকেই ছিলেন নাসির ইউ আহমেদ।
দেড় ঘণ্টা পর পরীমনীকে অচেতন অবস্থায় কোলে করে দৌড়ে বের হতে দেখা যায় জিমি ও একজন নিরাপত্তা প্রহরীকে। পেছন আসেন অমিও। ক্লাবে অমির কালো গাড়িতে গেলেও পরীমনি ফিরেছেন সাদা রঙের একটি গাড়িতে। এ সময় অমি সাহায্য তো করেনইনি উল্টো শাসিয়েছেন সবাইকে।
সেখান থেকে রাত তিনটা ৫২ মিনিটে বনানী থানায় আসেন পরীমনি। ডিউটি অফিসারের রুমেও তাকে অসুস্থ দেখা যায়। কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে বেরিয়ে যান। পুলিশ গাড়িতে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় পরীমনিকে। সুত্র:যুগান্তর
ক্লাবের ভেতরে সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকলেও ১৫ সেকেণ্ডের ফুটেজে ভাঙচুর ও পরীমনিকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করতে শোনা যায় নাসিরকে। পরীমনির দাবি, জোর করে তাকে মদ পান করানো হয়েছিল।
পুলিশ বলছে, পরীমনিকে নাসিরের কাছে তুলে দিয়েছিলেন অমি। পানীয়র সঙ্গে নেশাদ্রব্য খাইয়ে তাকে ধর্ষণচেষ্টা হয় সেখানে। বোট ক্লাবের সিসিটিভির ফুটেজে ঘটনার প্রমাণও মিলেছে।
পুলিশের কাছে দোষ স্বীকার করেছেন অমি ও নাসির।
পরীমনির অভিযোগের প্রেক্ষিতে নাসির ও অমিকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি।
ডিএমপির গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান, পরীমনিকে পরিকল্পিতভাবেই সেখানে ঢাকা বোট ক্লাবে নিয়ে গিয়েছিলেন অমি। জিজ্ঞাসাবাদে পরিমনীকে নির্যাতনের কথা শিকার করেছেন নাসির।
গোয়েন্দারা বলছে, নাসির-অমির নারী ও মাদক কারবারে জড়িত টঙ্গীর নাজিম ও তুহিন। এ দুজনকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সোমবার পরীমনির সাভার থানায় করা মামলায় নাসির উদ্দিন ও অমিসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ ছাড়া উত্তরার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেফতারের সময় মাদক উদ্ধার করা হয়। মাদক উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অমি ও নাসিরকে মঙ্গলবার ৭ দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে থাকা তিন নারীকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।