শিবির সন্দেহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে চার শিক্ষার্থীকে রাতভর ছাত্রলীগের নির্যাতনের পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, শিবির করা কোনো অপরাধ নয়, বরং শিবির সন্দেহে কাউকে মারধর করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে নিজের ফেসবুক পেজে ঢাবির এ অধ্যাপক বলেন, ‘ঢাবির জহুরুল হক হলে শিবির সন্দেহে কয়েকজনকে সারারাত অমানুষিকভাবে পিটিয়েছে ছাত্রলীগ। এটি বেআইনি ও সশ্রম কারাদণ্ডযোগ্য কাজ।’
এটি যারা করেছে সেই ছাত্রলীগের ছেলেদের পুলিশে দেয়া হয়নি। হলের দায়িত্বে থাকা ঢাবি শিক্ষকরা পুলিশে দিয়েছে মার যারা খেয়েছে উল্টো তাদের।
আসিফ নজরুল বলেন, শিবির করা বাংলাদেশের আইনে এখনো কোনো অপরাধ নয়। বরং শিবির করে এ সন্দেহে কাউকে আটক, তল্লাশি, মারপিট করলে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডযোগ্য অপরাধ। কাউকে মেরে ফেলা মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ।
তিনি আরো বলেন, যাদের দায়িত্বহীনতা ও অবহেলার কারণে এসব নির্যাতন অবাধে করা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় হলগুলোর দায়িত্বে থাকা সেই শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও ফৌজদারি মামলা করা যাবে।
আসিফ নজরুল বলেন, এ ধরনের মামলার কোনো সময়সীমা নেই। মনেপ্রাণে তাই আশা করি, যারা অন্যায় মারের শিকার হচ্ছেন, তারা শুধু নির্যাতকদের নয়, ওইসব শিক্ষকের বিরুদ্ধেও একদিন মামলা করার সুযোগ পাবেন। ১০-২০ বছর পর হলেও। সূত্র : যুগান্তর।
আগামী নিউজ/এসএম/এনএনআর