ঢাকা : কিছু কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট বাণিজ্যের অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে। এবং শিক্ষার গুনগত মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। খোঁজ নিলে দেখা যাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধিকাংশই আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে এসব অভিযোগের ব্যাপারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়মিতভাবে মনিটর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরীর প্রশ্নের লিখিত জবাবে এমন তথ্য দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী দাবি করেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি প্রোগ্রামের জন্য মোট ক্রেডিট আওয়ারস ও সেমিস্টার আগে থেকে নির্ধারণ করে নির্দিষ্ট সংখ্যক আসনের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হচ্ছে। এতে শিক্ষার নামে সার্টিফিকেট বাণিজ্য বহুলাংশে বন্ধ হয়েছে। কমিশন কর্তৃপক্ষসহ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আকস্মিকভাবে পরিদর্শন করা হচ্ছে।
ডা. দীপু মনি জানান, কিছু অসাধু চক্রের যোগসাজশে পরিচালিত কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ করা হয়েছে এবং অননুমোদিত ক্যাম্পাসগুলো বন্ধের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ গুণগতমান নিশ্চিতকরণ ইউনিট গঠন করা হয়েছে। শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের জ্ঞাতার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে সব সময় জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করে রাখা হচ্ছে।
সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর অপর প্রশ্নের লিখিত জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাত ১:১.১৮। গ্রামকে শহরের ন্যায় গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে কলেজ জাতীয়করণ করেছে। এতে গ্রামের শিক্ষার্থীরাও শহরের মতো পড়াশোনার সুযোগ সুবিধা পাবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নারী প্রগতির ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে ধর্ষণ, নিগ্রহ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে চলার পথে নিরাপত্তাহীনতা, সাইবার ক্রাইম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নামধারীদের হাতে ছাত্রী নিগ্রহ- এসবের যথাযথ প্রতিকার ও আইনের যথাযথ প্রয়োগ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।
আগামীনিউজ/এস