বেতাগী (বরগুনা): প্রায় ১৮ মাস বা ৫৪৩ দিন পর প্রাণ ফিরে পেয়েছে উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের আনাগোনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে বিদ্যাপীঠ। শ্রেণিকক্ষে বইছে আনন্দ আর উল্লাস। শুধু তাই নয়, শ্রেণিকক্ষে ঢুকে রোলকল করতেই কানে ভেসে এলো সেই চিরচেনা শব্দ ‘উপস্থিত স্যার’। যা শিক্ষকরা শুনলেন ৫৪৩ দিন পর। তাই শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি উচ্ছ্বসিত শিক্ষরাও।
রোববার সকালে এমনই চিত্র দেখা গেছে বেতাগী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বেতাগী মডেল সরকারি পাইলট বিদ্যালয়সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ক্লাসে রোলকল করার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ বলছে ‘উপস্থিত স্যার’ আবার কেউ বলছে জি স্যার। এসব প্রতিষ্ঠানে সকাল ৯টায় ক্লাস শুরু হয়েছে।
বেতাগী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা: জেসমিন আক্তার বলেন, রোলকলে অনেকটাই মুখরিত শ্রেণিকক্ষ। শিক্ষকদের মনেও ফিরেছে আমেজ। শিক্ষার্থিরাও আল্পুত। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, একাধিক প্রতিষ্ঠানে সরেজমিনে গিয়ে হালচাল দেখে এসেছি। প্রথম দিনেই ক্লাশে উপস্থিতির হার সন্তোষ জনক।
এসএসসি পরীক্ষার্থী বৃষ্টি আক্তার বলেন, আজকের মতো এত আনন্দ আগে কখনো পাইনি। স্কুল খুলেছে, স্বাভাবিক ক্লাস হচ্ছে, রোলকল করেছেন শিক্ষকরা। বান্ধবীদের সঙ্গেও দেখা হয়েছে। যা বলে বোঝাতে পারব না।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৮টায় বিদ্যালয়ের গেটে টেবিলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্কসহ বিভিন্ন উপকরণ রাখা হয়েছে। বিদ্যালয়ের গেটে শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বিদ্যালয়ে ব্যানার টানানো হয়েছে। এছাড়া চকলেট দিয়ে চলে কুশলাদি বিনিময়, শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে মাস্ক। পৌর এলাকায় প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ.কে স্কুলে সকাল ৯ টায় মাস্ক বিতরণ ও কুশলাদি বিনিময় করেন, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল হাই ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সাইদুল ইসলাম মন্টু।