ঢাকা: করোনা সংক্রমণের কারণে ১৭ মাসের বেশি বন্ধ থাকার পর আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার।
এক্ষেত্রে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়, স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা এবং চলতি বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের আগে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে আনা হবে। এরপর মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। তবে চলতি বছর প্রাথমিক সমাপনী ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) -এ দুটি পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এরপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ঘোষণা দিতে চায় সরকার। শিক্ষা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগে দুইবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা জানালেও করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সেটা সম্ভব হয়নি। এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আগাম কোনো ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে না। যতদূর সম্ভব শিক্ষার্থী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ভ্যাকসিনের আওতায় এনে তারপর খোলার ঘোষণা দেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সব পরিকল্পনায় নির্ভর করছে আগামী এক মাসে কত সংখ্যক শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা যায়। অন্যদিকে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় ভ্যাকসিনের আওতায় আনা যাচ্ছে না। তাদের বিকল্প পদ্ধতিতে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রস্তাব করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ক্ষেত্রে তাদের রেজিস্ট্রেশন বা ফরম ফিলাপের ডকুমেন্ট দিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়া যায় কিনা সেটিও ভাবছে সরকার। এ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট জানিয়েছেন, চলতি শিক্ষাবর্ষ প্রায় শেষ। সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলেও অর্ধবার্ষিক, বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না। তাই এবার প্রাথমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে না। সরকারের পলিসি হলো, সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে, একসঙ্গে না খুলে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর খুলে আটকে থাকা স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলো আগে নেওয়া হবে। এরপর ধাপে ধাপে কলেজ ও বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পাওয়ার ওপর।