রাজশাহীঃ বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অবৈধ গণনিয়োগের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির দাখিলকৃত প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ করবেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২৫ মে) বেলা ১১টায় গণনিয়োগের বিষয়টি নিয়ে শুনানির সময় হাইকোর্ট এমনটা জানান। নিয়োগ বাতিল চেয়ে দাখিল করা এক রিট পিটিশনের শুনানি হয় হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে।
শুনানির বিষয়ে পিটিশন দাখিলকারী আইনজীবী নাজিম মৃধা বলেন, ‘বিজ্ঞ আদালত জানিয়েছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অবৈধ নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে সে বিষয়ে তারা অবগত। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন শিক্ষামন্ত্রণালয়ে যে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে সেটাও তারা জেনেছেন। তারা সেই তদন্ত প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ করবেন। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শিক্ষামন্ত্রণালয় কী ব্যবস্থা নেয়, সেটা দেখার পর আবার এই রিট শুনানী অনুষ্ঠিত হবে। সেই সময় পর্যন্ত রিট শুনানি মুলতবি রাখা হয়েছে।’
এর আগে গত ১৯মে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আরিফুর রহমানের পক্ষে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন অ্যাডভোকেট আমিনুল হক হেলাল ও অ্যাডভোকেট নাজিম মৃধা।
এ বিষয়ে বাদী আরিফুর রহমান জানান, তিনি ছাত্রলীগ-যুবলীগ বা অন্য কারো চাকরির বিপক্ষে নন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অবৈধ একটি নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে, এই সিস্টেমের বিপক্ষেই তিনি রিট করেছেন। বিদায়ী উপাচার্যের নিয়োগ দেয়ার কোনো সুযোগ ছিল না।
কেননা, গত ১০ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়োগ কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল। কিন্তু বিদায়ী উপাচার্য সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছেন। অথচ অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদন করে পরীক্ষা দেন। কিন্ত সেই পরীক্ষার ফলাফল না দিয়েই এ্যাডহক ভিক্তিতে উপাচার্য অবৈধভাবে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন।
আরিফুল বলেন, ‘সেই অবৈধ নিয়োগ বাতিল এবং এর সঙ্গে যারা জড়িত মূলত তাদের শাস্তি চেয়ে আমি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। আমি চাই, যারা যোগ্য তারা অবশ্যই যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পায়।’