ঢাকাঃ করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় পাঁচ মাস ধরে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। একই কারণে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও। এখন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবার জানার আগ্রাহ রয়েছে, এই পরীক্ষা কবে হবে তা নিয়ে। এরমধ্যে নানা ধরনের গুজবও তৈরি হচ্ছে।
করোনার কারণে গত ২৭ আগস্ট জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা বাতিল করে সরকার। এরপর এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল হচ্ছে কিনা তা নিয়ে চলছে আলোচনা। তবে গত ২৮ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এইচএসসি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়নি, বাতিলের সুযোগও নেই। পরিস্থিতি অনুকুলে আসলেই এই পরীক্ষা নেওয়া হবে।
তবে করোনা পরিস্থিতি অনুকুলে থাকলে আগামী নভেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। করোনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত ‘জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি’ এর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও করেছে মন্ত্রণালয়। তবে কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি কমিটি।
এ বিষয়ে কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. কাজী তারিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে নভেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে সরকারের। শিক্ষামন্ত্রী আমাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। আরও এক বা দুই মাসে পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণে আসে, যদি স্বাস্থ্য বিষেষজ্ঞরা পরিস্থিতি অনুকূলে আছে বলেন তবে নভেম্বরে এই পরীক্ষা নেওয়া হবে।’
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিলো ১ এপ্রিল। কিন্তু করোনার কারণে তা স্থগিত করা হয়। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেই এই পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এখন বিষয়টি জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির মতামতের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করছে বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘কোনও কোনও দেশে পরীক্ষার সংখ্যা কমিয়েছে। কোথাও অটো-প্রমোশনও হয়েছে। একেক দেশে একেকভাবে এই সমস্যার সমাধান করেছে। এগুলো নানান রকমের চিন্তা-ভাবনা। আমাদের নিজস্ব পরিকল্পনাও আছে। আমাদের এইচএসসির সম্পূর্ণ প্রস্তুতি ছিল, এখনও আছে।’
ওই অনলাইন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এখন কি পরীক্ষা নেওয়ার অনুকূল পরিস্থিতি আছে? ১৪ লাখ পরীক্ষার্থীর সঙ্গে পরিবারের কেউ না কেউ যাবেন। পরীক্ষা যারা পরিচালনা করবেন তারাও লক্ষাধিক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবেন, প্রশাসনের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এত লাখ মানুষ চলাচল করবেন গণপরিবহনে। এত লোকের কর্মযজ্ঞ এখন করার পরিবেশ আছে?’
আগামীনিউজ/আশা