ঢাকাঃ রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর শাখার গণিত শিক্ষক মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন।
ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, একজন শিক্ষকের কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ কেউ আশা করে না। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি একজন বাদী লালবাগ থানায় আসেন। তিনি অভিযোগ করেন, গত বছর তার মেয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় গণিতের শিক্ষক মুরাদ হোসেনের ব্যক্তিগত কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়ত। তখন মুরাদ ওই ছাত্রী ও তার সহপাঠীদের সঙ্গে কুরুচিপূর্ণ আচরণ করেন।
অনেক ছাত্রীর সঙ্গে এমন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, গত বছরের ১০ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে কোচিং শেষে অন্য সহপাঠীদের ছুটি দিয়ে কৌশলে বাদীর মেয়েকে আটকে রাখা হয়। পরে তার সঙ্গে ‘খারাপ’ আচরণ করেন মুরাদ। এছাড়া প্রায়ই তার শরীরে তিনি হাত দিতেন। পরে বাদী জানতে পারেন, শিক্ষক মুরাদ আরও অন্তত দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে একই আচরণ করেছেন। অনেক ছাত্রী এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছে।
ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, ওই শিক্ষার্থী জিন্স প্যান্ট পরিধান করে কোচিংয়ে উপস্থিত হলে অভিযুক্ত শিক্ষক এসব পোশাক না পড়ে ঢিলেঢালা সালোয়ার কামিজ পড়ে আসতে বলতেন।
অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, আসামি মুরাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও ল্যাপটপ জব্দ করে কিছু অডিও-ভিডিও ক্লিপ পাওয়া গেছে। ভিকটিম আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ২২ ধারায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। তদন্ত শেষ করে আসামিকে বিচারের আওতায় আনা হবে। যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা অনেক তথ্য পাচ্ছি। আসামি এসব অভিযোগ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
এদিকে, ২৭ ফেব্রুয়ারি ভিকারুননিসার শিক্ষক মুরাদ হোসেনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে, ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর কলাবাগানের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এম/