বাজেট ঘোষণায় অতিরিক্ত কর আরোপের মাধ্যমে সরকার দেশের মোবাইল খাতকে ক্রমেই দুর্বল করে তুলছে বলে মনে করছেন মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন এমটবের মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এস এম।
বৃহস্পতিবার ঘোষিত আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিতে মোবাইল টেলিকম খাতের অবদান যত উল্লেখযোগ্যই হোক না কেন, সরকার নিয়মিতভাবে প্রতিবছর এই খাতের উপর করের বোঝা চাপিয়ে একে আরও দুর্বল করে তুলছে। ফলে গ্রাহকদের উপর বাড়তি চাপ পড়ছে। দেশের জিডিপিতে মোবাইলের বর্তমান অবদান ৭ শতাংশ থেকে যে দুই অংকের ঘরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল তা আর অর্জিত না-ও হতে পারে।’ এমটবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বছর সরকার মোবাইলের মাধ্যমে প্রাপ্ত সকল রকম সেবার ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করেছে যা অত্যন্ত হতাশাজনক। এর ফলে গ্রাহকদের উপর বাড়তি চাপ পড়বে। এ বিষয়ে এস আর ও জারি হওয়ায় তা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকেই কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এমনিতেই মানুষের মাঝে যখন নাভিশ্বাস উঠেছে, মোবাইল মাধ্যম হয়ে উঠেছে সব যোগাযোগের মূল চালিকা ও দেশ ডিজিটাল ইকনোমির দিকে এগিয়ে চলছে; ঠিক সে সময় এ ধরনের করের বোঝা কোনোভাবেই দেশের অর্থনীতির জন্য মঙ্গলজনক হবে না। এ বোঝা দরিদ্র মানুষের জন্য অসহনীয় হয়ে পড়বে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পথে অন্তরায় হয়ে উঠবে। যা করোনাভাইরাস সংকটের কারণে আরও বাড়বে। এতে মোবাইল শিল্প খাত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্বল হয়ে পড়বে।
‘আমরা মোবাইল খাতের পক্ষ থেকে অলাভজনক কোম্পানির জন্য বর্তমানে ন্যূনতম ২ শতাংশ কর বিলোপ ও করপোরেট ট্যাক্স কমানোর জন্য পূর্বাপর অনুরোধ করলেও তা বিবেচনা হয়নি। যা চরম হতাশাজনক। আমরা সরকারকে টেলিকম খাতের বাজেটের বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করার জন্য আবারও অনুরোধ করছি,’ বলেন এমটব মহাসচিব। জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বিকাল ৩টা ৪ মিনিটে বাজেট তুলে ধরা শুরু করেন। অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের এটি দ্বিতীয় বাজেট।
এর আগে আজ মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করা হয়। জাতীয় সংসদ ভবনের মন্ত্রিসভা কক্ষে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামীনিউজ/ইমরান/জেএস