ঢাকাঃ বাঙালির অন্যতম প্রিয় পানীয় চা। শরীরকে তাৎক্ষণিক চাঙ্গা করতে চা দারুণ কার্যকর। এর ফলেই চায়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। এক সময় চা বিদেশ থেকে আমদানি করা হলেও শুল্ক বৃদ্ধির কারণে এই পানীয়র প্রতি অনেকটাই নিরুৎসাহিত দেশীয় চা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। তবে বর্তমানে বাজারে বেড়ে গেছে চায়ের দাম।
ইস্পাহানি টি কোম্পানির ডেপুটি জেনারেল ম্যানাজার সেলিম রেজা বলেন, চলতি বছরে চায়ের উৎপাদন কমে যাওয়ায় অকশনে দাম অনেক বেড়ে গেছে। পাশাপাশি চায়ের মান ভাল হওয়ার কারণে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর ড. মোহাম্মদ আলী এ ব্যাপারে এখন কিছু বলা যাবে না বলে জানান।
এদিকে বাংলাদেশ চা বোর্ডের হিসাবে দেশে নিবন্ধিত চা বাগানের সংখ্যা ১৬৪টি। বাংলাদেশ চা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এসব বাগানে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত উৎপাদিত এ চায়ের পরিমাণ ৯৫ মিলিয়ন বা ৯ কোটি ৫০ লাখ কেজি। বাংলাদেশ চা বোর্ড এর চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮০ মিলিয়ন বা ৮ কোটি কেজি চা পাতা।
চায়ের রাজধানীখ্যাত মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে চা দোকানগুলো ঘুরে দেখো গেছে গত এক সপ্তাহে খুচরা বাজারে বিভিন্ন ব্যান্ডের চায়ের দাম কেজিতে অন্তত ৩০-৪০ টাকা বেড়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উৎপাদন কমে যাওয়ার পাশাপাশি সাম্প্রতিক চায়ের নিলামে দাম বেড়ে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে বাজারে।
শ্রীমঙ্গল শহরের ষ্টেশন রোডের চা বিক্রেতা মো. সুমন মিয়া জানান, সিলন, ইস্পাহানিসহ বিভিন্ন কো¤পানির পাতা ব্যবহার করেন তিনি। চায়ের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার “দুই সপ্তাহ আগেও চা কো¤পানির এক কেজির প্যাকেট ২৯০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় পাওয়া যেত। গত সপ্তাহে প্রতি কেজিতে প্রায় ৩০ টাকা করে দাম বাড়িয়েছে কো¤পানিগুলো। এখন লাগছে ৩৩০ টাকা, বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে।”
ভানুগাছ রোডের চা ব্যবসায়ী নাসির টি হাউজের প্রধান নাসির আহমেদ রাসেল জানান, হঠাত করে চায়ের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরা ও পাইকারি ক্রেতারা বর্তমানে চা ক্রয় করতে হিমশিম খাচ্ছেন। এতে করে আগের মতো চা বিক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা বিপাকে আছি।
বাহির থেকে ক্রেতারা গত এক সপ্তাহ আগে যে দামে চা কিনে নিয়েছেন চলতি সপ্তাহে কেজি প্রতি চা ২০-৩০ টাকা বেশী দামে কিনতে হচ্ছে। এতে অনেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।
আগামীনিউজ/এএইচ