ঢাকাঃ গত রোববার ( ০৬ সেপ্টেম্বর ) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ডের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, জাপানের মিতশুবিসি ও ভারতের টাটা কোম্পানি বাংলাদেশে গাড়ি তৈরির কারখানা স্থাপনের চিন্তা করছে।
বাণিজ্যমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৩ ভাগ তৈরি পোশাক খাত থেকে আসে। সরকার রপ্তানি খাতের পণ্যসংখ্যা বাড়াতে কৃষিজাত পণ্য, ফার্মাসিটিক্যালস, চামড়াজাত পণ্য, আইসিটি, পাটজাত পণ্য খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। বাংলাদেশের প্রচুর দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। সুইজারল্যান্ড চাইলে তা ব্যবহার করতে পারে।
এ প্রসংগে সুইস রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেয়। বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে সুইজারল্যান্ড প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যালস এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে বাণিজ্য বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। করোনাভাইরাস মোকাবিলা এবং মহামারীকালে রপ্তানি বাণিজ্য অব্যাহত রাখার প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বৈদেশিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক সক্ষমতা অর্জন করেছে।
মতবিনিময় সভায় উভয় দেশের মধ্যে একটি বৈঠক করার প্রস্তাব দিয়ে সুইস রাষ্ট্রদূত বলেন, এতে করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্র চিহ্নিত করা সহজ হবে। নভেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের বাণিজ্য বৃদ্ধি ও বিনিয়োগের উদ্দেশে একটি বৈঠকের বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে সুইজারল্যান্ডে রপ্তানি করেছে ১০৬.৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে আমদানি করেছে ২৭০.৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে বাংলাদেশ ১০৬.৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে এবং জুলাই-মার্চ সময়ে আমদানি করেছে ২৪৫.১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গণমাধ্যমে জানান, "দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে, এগুলোর প্রায় অর্ধেকের কাজ সমাপ্তির পথে। এগুলোতে জাপান, ভারত, চীন, কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে এগিয়ে এসেছে। এরই মধ্যে জাপানের বিখ্যাত মিতশুবিসি এবং ভারতের টাটা কোম্পানি বাংলাদেশে গাড়ি তৈরির কারখানা স্থাপনের চিন্তা করছে। ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (এফডিআই) আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ কোম্পানি আইন সময়োপযোগী করাসহ ব্যবসা সহজীকরণের অন্যান্য সূচকেও প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধন করেছে।”
আগামীনিউজ/মিথুন