রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে বাবার সহযোগিতায় ১৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নাম আবুল হোসেন। সে মুরগি ব্যবসায়ী।
এই মুরগি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে তা পরিশোধ করতে না পেরে তার কুপ্রস্তাবে রাজি হয় বাবা। এক পর্যায়ে মেয়েকে তুলে দেয় ওই ব্যবসায়ীর হাতে। তারপর থেকে দিনের পর দিন শিশুটিকে ধর্ষণ করতে থাকে ওই মুরগী ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় পাষান্ড বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরপর অভিযুক্ত প্রধান আসামী আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
কামরাঙ্গীরচর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সিকদার মহিতুল আলম জানান, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থেকে শিশু ধর্ষণের মূল হোতা আবুল হোসেনকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার শিশুটির মা মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে থাকেন। তাই বাবার সঙ্গে থাকত সে। কিন্তু বাবাই যে এমন পাষণ্ড হয়ে উঠবে, তা ভাবতেও পারেনি সে। কামরাঙ্গীরচরে শিশুটিকে ধর্ষণের ঘটনায় সম্প্রতি প্রতিবেশী এক নারী জানতে পেরে জাতীয় জরুরি সেবা '৯৯৯'-এ কল করে সহায়তা চান। অভিযোগ পাওয়ার পর মঙ্গলবারই পাষণ্ড বাবাকে গ্রেফতার করে কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। মেয়েটি তার বাবার সঙ্গে যে বাসায় ভাড়া থাকত, সেই বাড়িওয়ালা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এতে মেয়েটির বাবা ও ব্যবসায়ী আবুল হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।
কামরাঙ্গীরচর থানার এসআই শেখ মোর্শেদ আলী সাংবাদিকদের জানান, আবুল হোসেনকে কৌশলে পালানোর সুযোগ করে দেয় শিশুটির বাবা। মামলার বিষয়টি জানতে পেরে সেই আবুলকে ফোন করে পালিয়ে যেতে বলে।
এদিকে মেয়েকে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে গ্রেপ্তার তার বাবাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে।
আগামী নিউজ/আরআর