ঢাকাঃ পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জীশান মীর্জার পরিচয়ে কনস্টেবল নিয়োগের তদ্বির করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন এক নারী।
পুলিশ রুমা আক্তার (৩২) নামের ওই নারীকে শনাক্ত করার পর শুক্রবার রাতে কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
একই সঙ্গে তার স্বামী আসলাম মিয়াকেও (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৭ নভেম্বর টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপারের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে ফোন করে একজন কনস্টেবল নিয়োগের জন্য তদ্বির করা হয়।
নিজেকে আইজিপির স্ত্রী পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোন থেকে ওই নিয়োগের জন্য বলা হয়। পাশাপাশি কনস্টেবল পদপ্রার্থী ওই ব্যক্তির বিস্তারিত তথ্য লিখে মোবাইলে ক্ষুদে বার্তাও পাঠান ওই নারী।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিষয়টি প্রতারণামূলক প্রমাণিত হওয়ায় প্রযুক্তির সহায়তায় ওই ফোন নম্বরের তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে ওই নারী প্রতারকের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। দেখা যায় তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার আটিবাজারের ঘাটারচর এলাকায় অবস্থান করছেন। পরে পুলিশ সেখান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইলে পাঠিয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানায় এ দম্পত্তির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর একই বিজ্ঞপ্তিতে আইজিপির স্ত্রী ও বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জা পুলিশের যে কোনো নিয়োগে প্রতারণার কৌশল না নিতে এবং প্রতারক থেকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
এদিকে আমাদের টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, গ্রেপ্তার রুমা আক্তারকে শনিবার ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করা হয়। বিকেলে সিনিয়ির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাসছুল আলম দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গ্রেপ্তার রুমা আক্তার বাঘেরহাটের চিতলমারি উপজেলার আসলাম মিয়ার স্ত্রী।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তার স্ত্রী পরিচয় দিয়ে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের জন্য তদ্বির করায় সন্দেহ হয়। পরে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় পরিচয়দানকারী ওই নারী একজন প্রতারক। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাভার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আগামীনিউজ/শরিফ