ঢাকাঃ করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা নিয়ে রিপোর্ট জালিয়াতির মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ও জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের চিকিৎসক ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছেন আদালত।
গত ১ অক্টোবর নির্ধারিত দিনে প্রতিবেদন জমা না পড়ায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সোমবার (০২ নভেম্বর) দিন ধার্য করা হয়। ওইদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মইনুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রাপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এ দিন ধার্য করেন। এর আগে বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া।
গত ২৩ জুন জেকেজিতে অভিযান চালায় তেজগাঁও থানা পুলিশ। অভিযানে প্রতারণার মূল হোতা ও জেকেজির প্রধান নির্বাহী আরিফ চৌধুরীসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাছাড়া ডা. সাবরিনা নিজে পরিচয় গোপন রেখে দুই এলাকা থেকে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র নেন।
তেজগাঁও থানা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গত এপ্রিল মাস থেকে জেকেজি থেকে প্রায় ২৭ হাজার রোগীকে করোনার টেস্টের রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনা আইইডিসিআর-এর মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা না করেই প্রতিষ্ঠানটির ল্যাপটপের মাধ্যমে ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করে রোগীদের দেয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জব্দ করা ল্যাপটপ থেকে এসবের প্রমাণও পেয়েছে।
তেজগাঁও থানা পুলিশ জানিয়েছে, জেকেজির মাঠকর্মীরা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে করোনার নমুনা সংগ্রহ করে বাংলাদেশি প্রত্যেক রোগীর কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে নিতো। আর বিদেশি রোগীদের কাছ থেকে নিতো ১০০ ডলার করে।
আগামীনিউজ/জেহিন