ঢাকাঃ আমাদের প্রিয় দেশটি নারী-পুরুষ সবার। সবার ভালোবাসা আর পরিশ্রমে ধীরে ধীরে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি বিশ্বের বুকে।
কিন্তু কিছু কিছু দুর্ঘটনা আমাদের চলার পথ যেন থামিয়ে দেয়। অনিশ্চিত করে সেই এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। ঝুঁকিতে ফেলে আমাদের মানবিকতা- বন্ধুত্ব আর আস্থার সব সম্পর্ককে।
একটির পর একটি ঘটে যাওয়া ধষর্ণের ঘটনা জাতি হিসেবে আমাদের লজ্জিত করে। বিভৎস-কুৎসিতভাবে সেগুলো ধারণ করে আবার ছড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে। ধর্ষণ, নির্যাতন, হত্যার মতো পাশবিকতা থেকে নিরাপদ নয় দুধের শিশু থেকে ৮০ বছরের বৃদ্ধা।
অথচ নারীর প্রতি সংহিসতা করা এই পুরুষগুলো কোনো ভিন্ন গ্রহ থেকে আসেনি। তারাও এই সংসারেরই সন্তান। কারো ভাই, কারো ছেলে আর কারো বন্ধু। দুঃখজনক হলেও সত্যি কিছু মেয়ের বাবাও রয়েছে সেই কুলাঙ্গারের তালিকায়।
আগে মনে করা হতো, একজন নারী ঘর থেকে বের হওয়ার পর বিভিন্নভাবে তাকে হয়রানি করা হয়। কিন্তু আসলে শুধু ঘরের বাইরে নয়, অনেক সময় নিজ ঘরেও নিরাপদ না সে।
সবার মনে ঘুরে-ফিরে আজ একটাই প্রশ্ন, তাহলে এই ধর্ষকদের নিয়ন্ত্রণের উপায় কী?
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে রাজপথ সব জায়গায় মানুষ আজ সোচ্চার ধর্ষণসহ সব ধরনের নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে।
সাংবাদিক মুনজুরুল করিম বলেন, অপরাধীকে সামাজিকভাবে চিহ্নিত করে ভাইরাল করা উচিত।
ডেপুটি সেক্রেটারি, জেন্ডার বিশেষজ্ঞ ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, ধর্ষককদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, যাতে আর কেউ সাহস না করে। অপরাধীদের সহযোগী বা প্রশ্রয়দাতাদেরও শাস্তি নিশ্চিত করা। এছাড়া নৈতিক শিক্ষার প্রতিফলন ঘটানো। বড়রা কাজে দেখাবে, নতুন প্রজন্ম দেখে শিখবে। তথা ধর্ষক দমনের পাশাপাশি সব মানুষের ধর্ষকাম মানসিকতার দমনে সকল ব্যবস্থা নিতে হবে।
পরিবার থেকেই শিশুদের সঠিক মূল্যবোধ ও নারীর প্রতি সম্মান দেখানোর শিক্ষা দিতে হবে। একটি সন্তান কাদের সঙ্গে মিশছে, কীভাবে সময় কাটাচ্ছে, সে যদি ঘরেও থাকে অনলাইনে কোন সাইট দেখছে, এগুলো লক্ষ্য রাখতে হবে।
প্রতিটি পুরুষ একজন ভাই-বন্ধু, বাবা-ছেলে-প্রেমিক। তাদের পাশে, তাদের কাছে প্রতিটি নারী যেন নিরাপদ থাকে। পুরুষও নারীর মতোই মানুষ, সে কেন বর্বর ধর্ষক হবে!
অ্যাডিশনাল ডেপুটি কমিশনার (ডিএমপি) মাহমুদা আফরোজ লাকি বলেন, নারীর সঙ্গে কোনো ধরনের সহিংসতা হলে চুপ না থেকে ৯৯৯ এ কল করে পুলিশের সহায়তা চাইতে হবে।
আগামীনিউজ/জেহিন