Dr. Neem on Daraz
Victory Day

৭ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া খুশিকে উদ্ধার করলো পুলিশ


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক ‌ প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২০, ০১:০০ পিএম
৭ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া খুশিকে উদ্ধার করলো পুলিশ

সংগৃহীত ছবি

ঢাকা: সাত বছর আগে হারিয়ে যাওয়া খুশি আরাকে উদ্ধার করেছে গুলশান থানা পুলিশ।

শনিবার (০৪ জুলাই) রাতে গুলশান পুলিশ কড়াইল বস্তি থেকে তাকে উদ্ধার করে।

দিনাজপুরের খানসামা থানার গুচ্ছগ্রাম পাকেরহাট গ্রামের আজিজার রহমানের মেয়ে খুশি আরা। গরিব বাবার সংসার থেকে ২০১২ সালে রাজধানীর গুলশানের নিকেতনের একটি বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে আসেন।

নিকেতনের যে বাসায় খুশি কাজ করতেন, সে বাসার মালিক মাসুদুজ্জামান সরকারের বাড়িও একই থানা এলাকায়। মাসুদুজ্জামানের অনুরোধেই খুশির বাবা তাকে বাসায় কাজ করতে পাঠান। তখন খুশির বয়স ১১ বছর।

খুশি এক বছর মাসুদুজ্জামানের বাসায় কাজ করেন। এরপর ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে কাউকে কিছু না বলে হঠাৎ বাসা থেকে কোথায় যেন চলে যায়। এ নিয়ে ২০১৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। সেই সঙ্গে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় মাইকিংসহ বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন মাসুদুজ্জামান। কিন্তু কোনো হদিস মেলেনা খুশির।

এদিকে মেয়ের সন্ধান না পাওয়ায় খুশির বাবা মাসুদুজ্জামানসহ তার পরিবারের কয়েকজনের বিরুদ্ধে দিনাজপুর জেলা আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন। আদালত খানসামা থানাকে নিয়মিত মামলা রুজু করে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলাটি খানসামা থানা পুলিশের পাশাপাশি তদন্ত করেন পিবিআই ও সিআইডি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে। অবশেষে ৭ বছর পর উদ্ধার করা হয় খুশিকে।

গুলশান থানা পুলিশ বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারে, খুশি বনানী থানাধীন কড়াইল বস্তিতে বসবাস করছেন। সংবাদ পেয়ে গুলশান বনানী থানাধীন কড়াইল বস্তির বউ বাজারের একটি বাসা হতে খুশিকে উদ্ধার করে নিরাপদ হেফাজতে নেয়া হয়। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাবিরুল ইসলাম খুশিকে আদালতে উপস্থাপনের জন্য গুলশান থানা থেকে নিজ হেফাজতে নিয়ে আসেন।

খুশি আরাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ঘটনার দিন বাসা থেকে হঠাৎ বের হয়ে পথ হারিয়ে ফেলেন খুশি। পথ খুঁজে না পেয়ে হাঁটতে হাঁটতে গুলশান থানার গুদারাঘাট এলাকায় রাস্তার পাশে গাছের নিচে বসে কান্না করছিলেন। গুলশান-১ নম্বরের ডিএনসিসি মার্কেটের ক্লিনার মনোয়ারা বেগম (খোকনের মা) তাকে কাঁদতে দেখে নাম-ঠিকানা জিজ্ঞাসা করেন। খুশি তার নাম ছাড়া আর কিছুই বলতে না পারায় মনোয়ারা বেগম কড়াইল বস্তিতে তার বাসায় নিয়ে যান এবং তিনিই খুশি আক্তারকে দীর্ঘ ৭ বছর লালন-পালন করেন।

আগামীনিউজ/এআর/এমআর

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে