ঢাকা: ভারতীয় নাগরিকের চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সিএনজি চালক হাবিব হাওলাদারকে (৩৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ডিএমপির ওয়ারী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) সুজিত কুমার সাহা জানান, গত মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভারতীয় নাগরিক গণেশ চন্দ্র সরকার তার স্ত্রী ও তার বন্ধু প্রবীর কুমার গুহ এবং বন্ধু পত্নীসহ কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারির মৈত্রী এক্সপ্রেসের চারটি টিকিট কাটেন। সকাল পৌনে ১১টার দিকে সিএনজি করে স্বামীবাগ লোকনাথ ব্রহ্মচারীর মন্দিরে তারা রওনা দেন।
তিনি বলেন, পথিমধ্যে তারা হালকা নাস্তা করবেন বলে ভাড়াকৃত সিএনজি চালককে একটি খাবারের দোকানের সামনে থামানোর জন্য অনুরোধ করেন। সে অনুযায়ী বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওয়ারী থানার অভয়দাস লেনের একটি খাবারের দোকানের সামনে অটোরিকশা থামান চালক। চার পর্যটকের সবাই অটোরিকশা থেকে নামেন এবং চালককেও তাদের সঙ্গে নাস্তা করতে যাওয়ার অনুরোধ করেন। সিএনজি অটোরিকশা চালক যাত্রীদের সঙ্গে না গিয়ে তাদের নাস্তা করে আসতে বলেন।
পরবর্তী সময়ে পর্যটকরা নাস্তা খেয়ে বাইরে এসে দেখেন, উক্ত অটোরিকশাচালক যাবতীয় মালামাল চুরি করে পালিয়েছে। তাদের চুরি যাওয়া মালামালের মধ্যে ছিল দু’টি ট্রলি ব্যাগ, কাঁধে ও হাতে ঝুলানো চারটি ব্যাগ ও মহিলাদের ভ্যানিটি ব্যাগ দু’টি। যার মধ্যে কাপড় ছাড়াও ভারতীয় সাত হাজার রুপি, বাংলাদেশি সাড়ে তিন হাজার টাকা, চারজনের পাসপোর্ট, সবার ভারতীয় আধার কার্ড, প্যানকার্ড, ভোটার কার্ড ও কলকাতাগামী ট্রেনের চারটি টিকিট। পরে স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে তারা ওয়ারী থানায় আসলে উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি মামলা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওয়ারী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. জহির হোসেন বলেন, মামলা পরওয়ারীর ডিসি শাহ ইফতেখার আহমেদ নির্দেশনায় ওয়ারী ও যাত্রাবাড়ী থানার দু’টি টিম যৌথভাবে অভিযান শুরু করে। তারা ওই সিএনজির নাম্বার সনাক্ত করে চালকের নাম-ঠিকানা সনাক্ত করে। এক পর্যায়ে ওই দিনেই অর্থাৎ ১১ ফেব্রুয়ারি সিএনজিসহ চুরি করা যাবতীয় মালামাল উদ্ধার করা হয়। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে সিএনজি চালক হাবিব পালিয়ে যায়।
বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় ধোলাইপাড়ে অভিযান পরিচালনা করে ওই সিএনজি চালক হাবিব হাওলাদারকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. জহির হোসেন।
আগামীনিউজ/সুমন/নুসরাত