হবিগঞ্জঃ হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে শ্বাশুড়ীকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
জানা যায়, রবিবার দুপুরে উপজেলার রাণীগাঁও ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামের জ্যোৎস্না আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানা পুলিশ গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছে।
ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গৃহবধুর শ্বাশুড়ী রাবিয়া আক্তার (৫০) কে সন্ধ্যায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জ্যোৎস্নার পরিবারকে জ্যোৎস্না আত্মহত্যা করেছে বলে জানান তার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন। নিহত গৃহবধুর পিতা আমির আলী জানান, যৌতুকের দাবীতে হত্যার পর গলায় রশি দিয়ে বেঁধে আত্মহত্যা করেছে বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন তার স্বামী শ্বাশুড়ীসহ ঘটনার সাথে জড়িতরা।
ঘটনার পর থেকে স্বামী আলামিন পলাতক রয়েছেন। পুলিশ জানায়, প্রায় ৩ বছর পূর্বে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের কবিলাশপুর এলাকার আমির আলীর মেয়ে জ্যোৎস্নার সাথে একই উপজেলার রাণীগাঁও ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামের ঠান্ডা মিয়ার পুত্র রাজমিস্ত্রী আল-আমীনের সাথে বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে আলিফ নামের ১ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। নিহতর মা দুপরাজি বেগম জানান, আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, জ্যোৎস্নাকে তার স্বামী আল-আমীন প্রায়ই যৌতুকের জন্য মারধর করত। রবিবার দুপুরে লোক মারফত জ্যোৎস্নার মৃত্যুর খবর তারা জানতে পারেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে এলোমেলো অবস্থায় স্বামীর ঘরের মেঝেতে মেয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।
চুনারুঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা জানান, এ ঘটনায় নিহতর মা বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় স্বামী ও শ্বাশুড়ীর নাম উল্লেখ করে যৌতুকের জন্য হত্যা মামলা দায়ের করেন।
শংকর শীল/এমআইসি