ঢাকাঃ দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে সিলেট ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ, চলে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ভোটগ্রহণের পূর্বে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ইভিএম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও বড় ধরনের জটিলতা ছাড়াই নির্দ্বিধায় ভোট দিতে পেরেছেন ভোটাররা। বিশেষ করে তরুণ ভোটাররা ইভিএম নিয়ে বেশ কৌতূহলী ছিলেন।
সিলেটে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা), জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল (লাঙল), জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু (ঘোড়া), মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট), মো. শাহ জাহান মিয়া (বাস) ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা (হরিণ)। তবে আগেই নির্বাচন বর্জন করে মাঠ ছেড়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী।
এছাড়া সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৪২টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ২৭২ জন, আর ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৮৭ জন প্রার্থী। সিলেট সিটির মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬০ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ৬ জন।
এদিকে, রাজশাহী সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে মোট চারজন প্রার্থী ছিলেন। তবে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী (হাতপাখা) আগেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। বাকি তিনজন হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙল) ও জাকের পার্টি মনোনীত লতিফ আনোয়ার (গোলাপফুল)।
এছাড়া রাজশাহী সিটির সাধারণ ৩০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন ১১২ জন। আর সংরক্ষিত নারী আসনের ১০টি ওয়ার্ডে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। রাসিকে এবার মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এর মধ্যে নতুন ভোটার ৩০ হাজার ১৫৭ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন, নারী ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার ৬ জন।
এমআইসি