ঢাকাঃ ইভিএমে হাতপাখার ভোট নৌকায় যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মো. আব্দুল আউয়াল।
তিনি বলেন, নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে অভিযোগ এসেছে সেখানে হাত পাখায় ভোট দিলে তা চলে যাচ্ছে নৌকায়। কোনো ষড়যন্ত্র না হলে বিপুল ভোটে হাতপাখার জয় হবে।
সোমবার (১২ জুন) সকাল ১০টায় নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বানিয়াখামার এলাকার দারুল কোরআন বহুমুখী মাদরাসা কেন্দ্রে ভোটদান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মো. আব্দুল আউয়াল বলেন, মানুষের ভোট দিতে সমস্যা হচ্ছে। সঠিকভাবে ভোট দিতে পারছে না। কোনো কোনো জায়গায় হাতপাখায় ভোট দিলে নৌকা আসছে, এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। খালিশপুর ১২ নম্বর ওয়ার্ডে একটা কেন্দ্রে হাতপাখায় টিপ দিলে নৌকা আসছে। কিছু কিছু মেশিনে বিভ্রাট দেখা দিচ্ছে। মেশিন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, ঠিকমতো কাজ করছে না।
তিনি বলেন, পরিবেশ ভালো আছে, আমার মনে হচ্ছে। যদি পরিবেশ এমন ভালো থাকে তাহলে মানুষ ভোটকেন্দ্রে আসবে। মানুষের সাথে আমাদের একটা আত্মিক সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ মনে করে আমাদেরকে ভোট দিলে আমরা নগর উন্নয়ন করতে পারব। মানুষের মধ্যে আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। মানুষ পরিবর্তন করতে চায়। এই আশায় মানুষ আমাদেরকে ভোট দেবে। কোনো ষড়যন্ত্র না হলে হাতপাখা মার্কা বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। ভোট যদি সুষ্ঠু ও সুন্দর হয় ফলাফল যাই হোক আমরা মানব।
এদিকে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মো. আব্দুল আউয়ালের অভিযোগ অবান্তর বলে উড়িয়ে দিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার মো. আলাউদ্দিন। তিনি বলেন, হাতপাখার প্রার্থী যে অভিযোগ করেছেন সেটি সঠিক নয়। অভিযোগ শুনে আমি ১২ নম্বর ওয়ার্ডে লোক পাঠিয়েছি। তিনি হাস্যকর অভিযোগ করেছেন। ইভিএম সম্পর্কে না জেনে এমন মন্তব্য করা ঠিক নয়।
অন্যদিকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণে ধীরগতিতে দুর্ভোগে পড়েছেন ভোটাররা। অনেককে দীর্ঘ সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও ভোট দিতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।
১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিসমিল্লাহ মহল্লার বাসিন্দা জাহানারা বেগম বলেন, সকাল সাতটায় এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। ৮টায় ভোট শুরু হয়েছে। সামনে এখনও অনেক ভোটার। কখন ভোট দিতে পারবো তা জানি না।
ধীর গতির ভোটের বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার মো. আলাউদ্দিন বলেন, ইভিএমে অনেকেই প্রথম ভোট দিচ্ছেন। তাদেরকে বুঝিয়ে দিতে হয়তো একটু দেরি হতে পারে।
৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৯টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণ চলছে। মেয়র পদে পাঁচজন, ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৩৬ জন ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার মধ্যে নগরীর ১৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ২ জন কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এবারের সিটি নির্বাচনে ৩১টি ওয়ার্ডে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন।
বুইউ