বরিশালঃ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) বলেছেন, আমি খুবই আনন্দিত যে ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে এসেছেন। এটা দেখে ভালো লাগছে। এভাবে ভোট চললে আমি অবশ্যই জয়ী হবো।
সোমবার (১২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর বরিশাল কলেজ কেন্দ্রে ভোট প্রদান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বেশ কিছু কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে খোকন বলেন, আমি আমার কর্মীদের অবশ্যই বলব তারা যাতে সংযত থাকেন। অনেক কাউন্সিলরদের মধ্যেই বিরোধ আছে। তাদের নিজেদের ভেতরেই কোন্দল রয়েছে। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলব তারা যেন শান্তি বজায় রাখেন।
নির্বাচিত না হলে বরিশালবাসীর পাশে থাকবেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই বরিশালবাসীর পাশে থাকবো। এ বরিশাল এসেছি আর যাবো না।
এদিকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য না হলে ভোটের ফলাফল মেনে নেওয়ার প্রশ্নই আসে না বলে জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। সকালে ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হলে আমরা আন্দোলন করবো। আদালতের দ্বারস্থ হবো। বিগত দিনে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। সেখানে মানুষ এবার অন্তত ভোট দেওয়ার একটি পরিবেশ পেয়েছে। আর ভোটাররা ভোট দিতে পারলে হাতপাখা সর্বোচ্চ ভোটে বিজয়ী হবে ইনশাআল্লাহ।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির বলেন, সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। নির্বাচনে ৮৯৪টি ভোট কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিটি ভোট কক্ষে একটি করে ও প্রতিটি কেন্দ্রের প্রবেশ পথে দুটি করে ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এতে মোট ১ হাজার ১৪৬টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ১২৬টি কেন্দ্রের সবগুলোতেই প্রায় ১২শ সিসি টিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে বলে বিশ্বাস করছি। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, বরিশাল সিটিতে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন। এই সিটিতে ৩০টি সাধারণ ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে।
বুইউ