সিলেটঃ সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)-এর ভোটে থাকা দলের ৪৩ নেতা-কর্মীকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
সোমবার (৫ জুন) রাতে বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়। সম্প্রতি বিএনপির পক্ষ থেকে ৪১ নেতা-কর্মীকে শোকজ করা হলেও আজীবন বহিষ্কারের তালিকায় আরও দুইজনের নাম যুক্ত হয়েছে।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, বিএনপি বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাচ্ছে না। কিন্তু সিলেটে যারা দলের সিদ্ধান্ত আমান্য করে প্রার্থী হয়েছিলেন তাদের বিএনপি আজীবন বহিষ্কার করেছে।
সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী জানান, রাতেই সংশ্লিষ্টদের হোয়াটসঅ্যাপে বহিষ্কারের চিঠি পাঠানো হয়েছে।
পাঠানো বহিষ্কারাদেশের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আগামী ২১ জুন ২০২৩ অনুষ্ঠিতব্য সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রহসনের নির্বাচনে আপনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে গত ১ জুন ২০২০ তারিখে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। কারণ দর্শানো নোটিশের আপনি যে জবাব দিয়েছেন তা সন্তোষজনক নয়। আপনার নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত গত ১৫ বছর ধরে ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা গুম-খুন ও সরকারি পৈশাচিক নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তাদের পরিবারসহ দেশের গণতন্ত্রকামী জনগোষ্ঠীর আকাঙ্ক্ষার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা। সুতরাং দলীয় গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে নির্দেশক্রমে আপনাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হল। গণতন্ত্র উদ্ধারের ইতিহাসে আপনার নাম একজন বেঈমান, বিশ্বাসঘাতক ও মীরজাফর হিসেবে উচ্চারিত হবে। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
বহিষ্কৃতরা হলেন— মেয়র প্রার্থী সালাউদ্দিন রিমন। এছাড়া, সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন—সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, ফরহাদ চৌধুরী শামীম, নজরুল ইসলাম মুনিম, এ.বি.এম জিল্লুর রহমান উজ্জল, অ্যাডভোকেট রুকশানা বেগম শাহনাজ, জেলা ছাত্রদল সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, উসমান হারুন পনির, গোলাম মোস্তফা কামাল, গউছ উদ্দিন পাখী, ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন নাদিম, মুফতি কমর উদ্দিন কামু, মিজানুর রহমান মিঠু, মো. কামাল মিয়া, খালেদ আকবর চৌধুরী, আমিনুর রহমান খোকন, শাহেদ সিরাজ, মো. সাঈদুর রহমান জুবের, আব্দুর রহিম মতছির, মো. মুজিবুর রহমান, মামুনুর রহমান মামুন, হুমায়ুন কবির সুহিন, সেলিম আহমদ রনি, আলী আব্বাস, জাবেদ আমিন সেলিম, রাজু মিয়া, সানর মিয়া, মো. আব্দুল মুকিত, অ্যাডভোকেট হেদায়াত হোসেন তানভির, দুলাল আহমদ, দিলওয়ার হোসেন জয়, আব্দুল হাছিব, সুমন আহমদ সিকদার, সাহেদ খান স্বপন, ইউনুছ মিয়া, আব্দুর রকিব তুহিন, এমসি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বদরুল আজাদ রানা, সালমান চৌধুরী শাম্মী ও নুরুল ইসলাম মাসুম।
সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন— সালেহা কবির শেপী, রুহেনা বেগম মুক্তা, অ্যাডভোকেট জহুরা জেসমিন ও কামরুন নাহার তিন্নি।
বুইউ