ঝিনাইদহঃ শৈলকুপায় দোকানে তেল আনতে গিয়ে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৯ মে) বিকেলে উপজেলার ১৩নং উমেদপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
সে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত কবির হোসেন (১৮) নামে এক মুদি দোকানিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি বাহাদুরপুর গ্রামের রমজান শেখের ছেলে।
শিশুটির পিতা জানান, তিনি গরুর ব্যবসা করেন। কালীগঞ্জ উপজেলার কালারহাট থেকে ৩টার দিকে বাড়িতে এসে মাঠে কাজে যান। বাড়িতে রান্নার কাজের জন্য তেলের প্রয়োজন হলে সাড়ে ৪টার দিকে বাড়ির পাশে কবির হোসেনের মুদি দোকানে যায় তার শিশু কন্যা। দোকানদার কবির হোসেন তার শিশুকে একা পেয়ে দোকানের মধ্যে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেন। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটি বাড়িতে আসলে তাকে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসক।
শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আরিফুর রহমান বলেন, ধর্ষণের স্বীকার শিশুটির ক্ষতস্থানে রক্তক্ষরণের কারণে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ফারহানা শারমিন বলেন, শিশুটি ধর্ষণের তথ্য নিয়ে ভর্তি হয়েছে। তার শরীর থেকে প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে। ভেতরেও ইনজুরি রয়েছে। শারীরিক অবস্থা ভালো নেই, কিছুটা সুস্থ হলেই বলা যাবে পরবর্তী অবস্থা।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, শিশু ধর্ষণের খবর শুনে ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে কবির হোসেনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আটককৃত আসামিকে শনিবার সকালে ঝিনাইদহ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বুইউ