রংপুরঃ রাত পোহালেই রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচন উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভোট কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো শুরু হয়েছে। ভোটকেন্দ্র ও কক্ষে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ থেকে কেন্দ্রগুলোতে ইভিএমসহ অন্য সরঞ্জামাদি পাঠানোর কার্যক্রম শুরু হয়। নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন আনুষ্ঠানিকভাবে সরঞ্জামাদি বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এসময় নিয়ম মেনে দায়িত্ব পালনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, আমরা আপনাদের ওপর আস্থা রাখছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আপনারা এই নির্বাচনে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। এখন পর্যন্ত রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সংক্রান্ত সবকিছুই শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। আগামীকালের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে হবে বলে আশা করি।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নুরে আলম মিনা বলেন, যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ ওঠে তাহলে ছাড় দেওয়া হবে না। বিগত নির্বাচনগুলোতেও দায়িত্ব অবহেলায় কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি, এবারও দেওয়া হবে না।
পুলিশ সদস্যদের কারও কাছ থেকে কোনো খাদ্য গ্রহণ না করা আহ্বান জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, এগুলোর কোনো ছবি বা ভিডিও ভাইরাল হলে সেই সদস্যের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আগামীকাল মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রংপুর সিটির ভোটগ্রহণ শুরু হবে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
মোট ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ১৪ হাজার ১৬৬ জন, পুরুষ ২ লাখ ১২ হাজার ৩০৩ জন এবং হিজড়া ভোটার রয়েছে ১ জন। নির্বাচনে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ২২৯ জন এবং সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা থাকবেন ১ হাজার ৩৪৯ জন। মোট পোলিং অফিসার থাকবেন ২ হাজার ৬৯৮ জন।
রংপুর সিটি নির্বাচনে ২২৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮৬টি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র বিবেচনা করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজাচ্ছেন নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ আরও ৫ রাজনৈতিক দলের মনোনীত ও দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ৯ জন মেয়র পদে লড়বেন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩২ ওয়ার্ডে ১৮৩ জন এবং ৩৩ ওয়ার্ডের ১১ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৬৮ জন। ৩৩টি ওয়ার্ডের ২২৯ কেন্দ্রে মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ১ হাজার ৩৪৯টি।
নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন প্রায় ৭ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। থাকছে র্যাব ও বিজিবির পাশাপাশি এপিবিএন ও পুলিশের টহল গাড়ি।
বুইউ