Dr. Neem on Daraz
Victory Day

বিলবোর্ড টাঙিয়ে দোয়া চাওয়া সেই পাঁচ শিক্ষার্থীর চারজন পেল জিপিএ-৫


আগামী নিউজ | জেলা প্রতিনিধি, পাবনা প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২২, ০৯:০০ এএম
বিলবোর্ড টাঙিয়ে দোয়া চাওয়া সেই পাঁচ শিক্ষার্থীর চারজন পেল জিপিএ-৫

ঢাকাঃ বিলবোর্ড টাঙিয়ে অভিনব কায়দায় দোয়া চেয়ে দেশব্যাপী আলোচনায় আসা পাবনার বেড়া উপজেলার সেই পাঁচ শিক্ষার্থীর মধ্যে চারজন জিপিএ-৫ পেয়েছে। সোমবার( ২৮ নভেম্বর) সকালে প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে।

জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- বেড়া উপজেলার কাবাসকান্দা গ্রামের ইফতেখার উদ্দিনের ছেলে সুয়াইব আহমেদ সাহেদ, নয়াবাড়ি গ্রামের মোহন মোল্লার ছেলে নাহিদ হাসান, দ্বারিয়াপুর গ্রামের খন্দকার শহিদুল্লার ছেলে সামি খন্দকার ও একই গ্রামের খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুনের ছেলে খন্দকার মাশরাফি।

এসব শিক্ষার্থী উপজেলার কাশিনাথপুর বিজ্ঞান স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। তারা পরস্পরের বন্ধু।

বিলবোর্ড টানানো পাঁচ শিক্ষার্থীর একজন খন্দকার মাশরাফি জানায়, ফলাফলে তারা খুব খুশি। তবে এক বন্ধু ফলাফল একটু খারাপ করায় তাদের আনন্দ শতভাগ পূর্ণ হলো না। 

‘আসলে আমাদের চেষ্টা ছিল। পাশাপাশি সবার দোয়াও চেয়েছিলাম। এ ফলাফলে সন্তুষ্ট। তবে ভবিষ্যতে ভালো কলেজে ভর্তি হতে চাই’, যোগ করে খন্দকার মাশরাফি।

কাশীনাথপুর বিজ্ঞান স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের স্কুলের পাঁচজন ছাত্র অভিনব কায়দায় দোয়া চাওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। বিষয়টিকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখেছিলাম। ভালো লাগছে এই ভেবে যে তাদের মধ্যে চারজন জিপিএ-৫ পেয়েছে। আশা করি কৃতিত্ব অর্জনকারী চার শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে আরও ভাল করবে।

জাহিদুল ইসলাম জানান, অষ্টম শ্রেণি ও এসএসসি পরীক্ষায় তাদের ফলাফল ঈর্ষণীয়। এ বছর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১২৬ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ৬০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। ৩৫ জন পেয়েছে গোল্ডেন এ প্লাস। বাকি এ গ্রেড।

এবার পাবনায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ২৯৪২৬ জন। এর মধ্যে ছেলে ১৪৭১৯ জন এবং মেয়ে ১৪৭০৭ জন। পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৬৭০ জন। পাসের হার ৮৪.৫৬ শতাংশ।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুন মাসে এসএসসি পরীক্ষার জন্য দোয়া চেয়ে বিলবোর্ড টাঙিয়ে আলোচনায় আসেন কাশিনাথপুর বিজ্ঞান স্কুলের পাঁচ শিক্ষার্থী। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিষয়টিকে তখন অনেকে ‘সৃজনশীল’ অনেকে ‘অভিনব’ বলেছিলেন।

তবে শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল, ভাইরাল হওয়ার জন্য নয়। ভাগ্যের কথা ভেবেই সবার কাছে দোয়া চেয়েছিলেন তারা। তাদের কোনো পূর্ব পরিকল্পনা ছিল না। একটা প্রেসের সামনে দাঁড়িয়ে পাঁচ বন্ধু কথা বলার সময় সেখানে একটি ডিজিটাল বিলবোর্ড দেখে তারা এই পরিকল্পনা করেছিলেন।

এ প্রসঙ্গে তাদের ভাষ্য ছিল, ‘যেহেতু আমরা রাজনীতি করি না, সেহেতু কি উদ্দেশ্যে বিলবোর্ড বানানো যায় সেই চিন্তা করি। তখন আমাদের মাথায় আসে পরীক্ষার কথা। আমরা ভাবি, সবার কাছে দোয়া চেয়ে আমরা একটা বিলবোর্ড বানাতেই পারি।’

সেই ভাবনা থেকেই ৩টি বিলবোর্ড বানানো হয়। এ জন্য খরচ হয় ১ হাজার টাকা। গত ৫ জুন কাশিনাথপুর মোড়ে ও আশেপাশে তিনটি বিলবোর্ড টাঙানো হয়। ফেসবুকে কেউ একজন বিলবোর্ডের ছবি শেয়ার করলে বিষয়টি ভাইরাল হয়। পরে অবশ্য অনেক নেতিবাচক মন্তব্য দেখে ৭ জুন বিলবোর্ডগুলো নামিয়ে ফেলে তারা।

বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে