নারায়ণগঞ্জঃ কাচপুরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে মো. জামাল হোসেন (৪০) নামে আরও একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে এ ঘটনায় নিহত বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে।
রোববার (৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। পেশায় তিনি নরসুন্দর ছিলেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাইক্রোবাস ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহত অন্য চারজন হলেন কাচপুর এলাকার শামসুদ্দিন খন্দকারের ছেলে নুরউদ্দিন (৪৫), অটোরিকশার যাত্রী মো. হানিফ (৩০), মো. মামুন (৩১) ও নাম না জানা এক পোশাকশ্রমিক (৩৬)।
দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে একজন মারা যান। চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চারজনই মারা যান।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কাচপুরে অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে আহত চারজনকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হলে প্রথমে তিনজন মারা যান। পরে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন জামাল নামের আরও একজন মারা যান। তাদের মরদেহ মর্গে রাখা আছে।
কাচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন জানান, আজ সকালের দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাচপুর ব্রিজের ঢাকামুখী লেনে একটি অটোরিকশা উল্টোপথে যাচ্ছিল। এ সময় ঢাকামুখী একটি হাইস মাইক্রোবাসের সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। অটোরিকশার এক যাত্রী মদনপুরের আল-বারাকা হাসপাতালে মারা যান। আহত চারজনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
নিহত মামুনের ছোট ভাই সুমন বলেন, আমার ভাই আদমজী ইপিজেডে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। আজ কাজ শেষে সিএনজিতে আমার বাসায় আসার পথে দুর্ঘটনায় মারা যান।
তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠিতে। বাবার নাম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন। বর্তমানে আদমজী এলাকাতেই থাকতেন। তার এক ছেলে রয়েছে।
নিহত হানিফের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়। বাবার নাম বিল্লাল হোসেন। থাকতেন যাত্রাবাড়ীতে। তার এক ছেলে এক মেয়ে রয়েছে।
এমবুইউ