নারায়ণগঞ্জঃ হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় সপ্তম দফায় আজ (সোমবার) ছয় পুলিশ কর্মকর্তাসহ আট জন সাক্ষ্য দেবেন।
সোমবার (৩ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে জেলা কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে আবার কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে।
এদিন বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।
সাক্ষীরা হলেন—সোনারগাঁ থানার এসআই আরিফ হাওলাদার, বোরহান, জোবায়েদ হোসেন, নুুরুল ইসলাম। এছাড়া আগের তারিখে দুই জন সাক্ষী অনুপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন—সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক সাইদুজ্জামান ও এসআই ইয়াউর রহমান। এর আগের তারিখে আরও দুই জন সাক্ষী অনুপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন—পারভেজ ও মেহেদী হাসান।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ কে এম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, ‘আজ মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় ছয় পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৮ জনের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে। নতুন চার জন পুলিশের এসআইসহ আগের তারিখের অনুপস্থিত দুই পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া আগের তারিখের আরও দুজন সাক্ষীরাও সাক্ষ্য দিতে পারেন।’
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মামুনুল হককে আদালতে আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ভাঙচুর করে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যান।
ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করে আসছিলেন। এ সময় পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে রাখে। এরপর ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল ওই মাদরাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় মামুনুলকে।
পরে এই ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।
এমবুইউ