নোয়াখালীঃ বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ ঘোষিত কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেতন বৈষম্য নিরসনসহ ৭ দফা দাবি আদায়ে নোয়াখালীতে মানববন্ধন করেছে ১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকুরিজীবিরা।
শনিবার সকাল ১০ টায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। ১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকুরিজীবিদের সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরাম জেলা কমিটি আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ ও অসন্তোষ দূর করতে বেতন বৈষম্য নিরসনসহ ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ সময় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্র ঘোষিত শান্তিপূর্ণ ধারাবাহিক কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
দাবিগুলো হচ্ছে- পে কমিশন গঠন পূর্বক ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন এবং পে স্কেল বাস্তবায়নের পূর্বে অন্তবর্তীকালীন সময়ে ৫০% মহার্ঘ ভাতা প্রদান; ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারনসহ পে কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখা, সচিবালয়ের ন্যায় সকল দপ্তর, অধিদপ্তরের পদ ও পদবী পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি প্রনয়ন; টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড, বেতন জেষ্ঠতা পুণঃবহাল এবং সকল স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে প্রাচ্যুইটির পরিবর্তে পেনশন প্রবর্তনসহ বিদ্যমান গ্রাচ্যুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০% এর স্থলে ১০০% নির্ধারণ ও পেনশন ১ টাকায়= ৫০০ টাকা নির্ধারন, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপীল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারি শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি-২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ; আউট সোসিং পদ্ধতি বাতিলপূর্বক উক্ত পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর।
সংগঠনের নোয়াখালী জেলা কমিটির সভাপতি মোঃ আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আমিন রাসেলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লা আল মামুন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ১১-২০ গ্রেড নোয়াখালী জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ফারুক ইসলাম ভূইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন মাসুদ, প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান তৈয়ব, অর্থ সম্পাদক মোঃ নূরনবী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হালিম মিলনসহ জেলা ও উপজেলার ১১-২০ গ্রেডের চাকুরিজীবিবৃন্দ।
মুজাহিদুল ইসলাম সোহেল/এমএম