ঝিনাইদহঃ এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেলা সদরের বিষয়খালী এলাকার রসুল, শরিফুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম, গোলাম রসুল, আব্দুল আজিজ, আজিজুর রহমান, জাহিদুল ইসলাম, বাদশা মিয়া ও বাতেন। এদের মধ্যে শরিফুল ও আমিরুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। এছাড়া মামলায় আনোয়ার নামের এক আসামি মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১১ সালের মার্চ মাসে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের আরব আলীর স্ত্রী রেনু বেগমকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাঁশবাগানে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করেন কয়েকজন। পরে তারা ওই নারীকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ হত্যার ঘটনায় নিহতের স্বামী আরব আলী বাদী হয়ে পরদিন ১৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। সেই মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ রায় দেন।
মামলার বাদী ও নিহতের স্বামী আরব আলী বলেন, ২০১১ সালে আমার স্ত্রীকে ওরা ধর্ষণের পর হত্যা করেছে। আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। দীর্ঘদিন পর স্ত্রী হত্যার বিচার পেয়ে খুশি।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাড. বজলুর রহমান আগামী নিউজকে জানান, এই মামলায় আদালত নয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। একজন মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আদালত পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। তারা গ্রেফতার হলে ওই দিন থেকে সাজা কার্যকর হবে।
এমবুইউ