নাটোরঃ জেলার বড়াইগ্রামে ঋণ-সুদের চাপ ও পারিবারিক কলহে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে স্ত্রীর মৃত্যুর পর স্বামী ওমর ফারুকও (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার হালদার পাড়া এলাকায় বিষপানের এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওমর ফারুক উপজেলার বনপাড়া কালিকাপুর এলাকার মফিজ উদ্দিনের ছেলে এবং স্ত্রী বিথী খাতুন লালপুর উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়নের পানঘাটা গ্রামের বাছের উদ্দিনের মেয়ে।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, প্রায় দেড় বছর আগে ফল ব্যবসায়ী ওমর ফারুকের সঙ্গে বিথীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর বড়াইগ্রাম হালদারপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। ফারুক দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে তাদের সংসারে কলহ চলছিল। তাছাড়া বিভিন্ন এনজিও এবং মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে প্রায় ১০ লাখ টাকা ঋণ নেওয়া ছিল। ঋণের কিস্তি দিতে না পারায় বেশিরভাগ সময় দোকান বন্ধ রেখে তিনি বাসাতেই থাকতেন। শুক্রবার সকালে তারা দুজন এক সঙ্গে ইঁদুর মারার বিষাক্ত ট্যাবলেট খান। পরে তারা পায়ে হেঁটে ফারুকের বাবার বাড়িতে যান। এসময় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্বজনরা উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিকে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে স্ত্রী বিথীর মৃত্যু হয়। পরে ওমর ফারুককে আশঙ্কাজনক রাজশাহী বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারও মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক জানান, ফারুকের দুইটি সংসার ছিল। সে তার ছোট স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা ভাড়া বাসায় থাকত। ঋণের দায়ে তারা অনেকটাই বিপর্যস্ত ছিল। কোনো উপায় না পেয়ে একসঙ্গে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এমবুইউ