নেত্রকোণাঃ জেলার দূর্গাপুর উপজেলায় পৃথক স্থান থেকে এক নারীসহ দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গর্তের জমা পানিতে ডুবে আব্দুল মালেক নামে এক প্রতিবন্ধী যুবক মারা গেছেন। দূর্গাপুর থানা পুলিশ শনিবার সকাল ১০টার দিকে কাকৈরগড়া ইউনিয়নের ইন্দ্রপুর গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
অপরদিকে দূর্গাপুরের একটি খাল থেকে এক হাজং নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের ছনগড়া খাল থেকে স্থানীয় থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। মৃত নারীর নাম সুশীলা হাজং। তিনি কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বগাউড়া গ্রামের দেবেন্দ্র বেতেন্দ্র হাজংয়ের স্ত্রী। ৫৫ বছর বয়সী সুশীলা দিনমজুরির কাজ করতেন।
দূর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) শফিউল্ল্যাহ মির্জা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মৃত আব্দুল মালেক ইন্দ্রপুর গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে। তিনি মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন।
স্থানীয়দের বরাতে এসআই শফিউল্ল্যাহ মির্জা জানান, শুক্রবার বিকেলে আব্দুল মালেক তার গরুর বাছুর খুঁজতে গিয়ে নিখোঁজ হন। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার হদিস পাননি। পরে শনিবার সকালে ইন্দ্রপুর গ্রামের একটি ধান ক্ষেতের গর্তে জমা পানিতে তার মরদেহ ভেসে উঠে। খবর পেয়ে পুলিশ সকাল ১০টার দিকে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
এস.আই শফিউল্ল্যাহ মির্জা বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, গরুর বাছুর খুঁজতে গিয়ে গর্তের পানিতে ডুবে তিনি মারা গেছেন। স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহটি বিনা ময়নাতদন্তে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নেত্রকোণার দূর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিব্বিরুল ইসলাম মরদেহ দুটি উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়দের বরাতে ওসি শিব্বিরুল ইসলাম জানান, সুশীলা হাজং শুক্রবার সকালে কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো হদিস পাননি। শনিবার সকাল ৭টার দিকে স্থানীয়রা ছনগড়া খালে এক নারীর মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে সুশীলার পরিবারের সদস্যরা এসে এটি সুশীলার মরদেহ বলে নিশ্চিত করেন।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিব্বিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ এখনও ঘটনাস্থলে রয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, সুশীলা সাঁতার জানতেন না। তাই ধারণা করা হচ্ছে, তিনি খাল পাড়ি দেওয়ার সময় পানিতে ডুবে মারা গেছেন। স্বজনদের মতামত নিয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সালাহ উদ্দীন খান রুবেল/এমবুইউ