গাইবান্ধাঃ ‘হ্যাভ আ রিল্যাক্স, সি ইউ, নট ফর মাইন্ড’ বাক্য বলে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হওয়া গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের শ্যামল চন্দ্র নিত্য নতুন আলোচনার জন্ম দিচ্ছেন। ট্রেনের টিকেট কালোবাজারির মাধ্যমে বিক্রির একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।পরে একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসহ অনলাইন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয় শ্যামলের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ভাইরাল শ্যামল চন্দ্র সংবাদকর্মী রাশেদুল ইসলাম রাশেদকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল করে আবারও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজসহ হত্যার হুমকি দেন। এ নিয়ে রোববার (১৭ জুলাই) ৪ মিনিট ৮ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। যা ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।
সেই ৪ মিনিট ৮ সেকেন্ডের অডিও ক্লিপে শ্যামল নিজেকে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারির মূল হোতা দাবি না করলেও দালালদের কাছ থেকে টিকেট কিনে তা আরো চড়া দামে বিক্রি করে কিছু টাকা ইনকাম করার কথা জানান। পরে সংবাদকর্মী রাশেদুল ইসলাম রাশেদকে সংবাদসহ অডিও ক্লিপ ফেসবুক থেকে ডিলিট করার নির্দেশ দেন শ্যামল। তার কথায় সংবাদকর্মী রাশেদ রাজী না হওয়ায় বামনডাঙ্গার মাটিতে পা রাখলে দেখে নেয়াসহ হত্যার হুমকি ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন শ্যামল।
এর আগের সেই ভাইরাল অডিওতে শোনা যায়, শ্যামল সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকাগামী ট্রেনের টিকেট ঈদকে কেন্দ্র করে ৪৬৫ টাকার একটি টিকেট ১৫'শ টাকায় দর কষাকষি করছেন। অপরপ্রান্ত থেকে যখন জানতে চাওয়া হয় লালমনি এক্সপ্রেস নাকি রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট দেয়া হবে? উত্তরে শ্যামল যেকোনো ঢাকাগামী ট্রেনের টিকেট কালোবাজারির মাধ্যমে ১৫'শ টাকার বিনিময়ে দিতে পারবেন বলে জানান।
এসব বিষয়ে জানতে শ্যামলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে বামনডাঙ্গা রেলস্টেশনে পাওয়া যায়নি। অন্য দিকে তার মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দৈনিক আলোকিত সকাল পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এবং সাপ্তাহিক নতুন বাংলার সংবাদ পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাশেদ বলেন, 'আমি সুন্দরগঞ্জ প্রেসক্লাবের একজন সদস্য। ইতোমধ্যে ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদককে বিষয়টি জানিয়েছি। তাদের পরামর্শক্রমে আমি যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেব।'
শ্যামলের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের বিষয়ে বামনডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার হাইয়ুল মিয়া বলেন, 'শ্যামল আমাদের রেল বিভাগের কোনো স্টাফ নয়। শ্যামলকে দিয়ে রেলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, এমন কোনো লিখিত অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
উল্লেখ্য, শ্যামল রায় ভুল শুদ্ধ মিলিয়ে ‘হ্যাভ আ রিল্যাক্স, সি ইউ, নট ফর মাইন্ড’ বলে সোশ্যাল প্লাটফর্মে ভাইরাল হয়। এরপর থেকে দেশের নেটিজেনদের কাছে শ্যামল নামটি পরিচিত হয়ে ওঠে।
সুদীপ্ত শামীম/এমবুইউ