ঢাকাঃ যে বয়সে শিশুটির হেঁসে খেলে বেড়ানোর কথা। সাথীদের সাথে স্কুলে বই নিয়ে লেখাপড়ার কথা। সেই শিশুটি এখন নিজ বাড়িতে চিকিৎসার অভাবে মরতে বসেছে। বলছিলাম যশোরের শার্শা উপজেলার সীমান্তবর্তী দাউদখালী গ্রামের হোসনেয়ারা আঁখির কথা। এখন আখির বয়স ৮ বছর ৪ মাস। তার হার্টে ছিদ্র। ৩ বছর বয়সে হার্টে ছিদ্র ধরা পড়ে। সে সময়ই চিকিৎসকরা বলেছিলেন, ৬ থেকে ৯ বছরের মধ্যে তার অপারেশন করাতে হবে। এখনই অপারেশন করানোর উপযুক্ত সময়। অপারেশনে খরচ লাগবে ৪ লাখ টাকা। কিন্তু এতো টাকা তার বাবা আব্দুর রহমান কোথায় পাবে? দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার। দাউদখালী প্রাইমারি স্কুলের সামনে ভারত বাংলা সীমান্ত ঘেষা সরকারি সম্পত্তিতে তারা বসবাস করেন।
শিশু আখি জানায়, তার বুক, মাথা ও পা যন্ত্রণা করে, গায়ে জ্বর আসে এবং সারাক্ষণ বুকের ভেতর ধরপড় করে। কিচ্ছু ভালো লাগে না তার।
হোসনেয়ারার মা রেহানা খাতুন জানান, ৩ বছর বয়সে সে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে তাকে সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখনই সেখানকার চিকিৎসকরা হার্ট ছিদ্র হওয়ার কথা বলেন। সে কথা বিশ্বাস না করে তারা শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেও চিকিৎসকরা একই কথা বলেন। এরপর টাকার অভাবে তারা বাড়ি চলে আসেন। টাকার অভাবে মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারছেন না। ধুকে ধুকে মরতে বসেছে মেয়েটি আমার। নিজেদেরই সংসার চলে না কিভাবে মেয়েকে চিকিৎসা করাবো।
রেহানা খাতুন তার একমাত্র মেয়েটিকে বাঁচাতে দেশে এবং প্রবাসে যারা আছেন তাদের সকলের কাছে সাহায্য কামনা করেছেন। তাদের বিকাশ নম্বর-০১৭৪০৮৬০১৭৬। এই নম্বরে সাহায্য পাঠাতে বিত্তবানদের কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন অসহায় পরিবারটি।
মোঃ মনির হোসেন/এমবুইউ