মানিকগঞ্জঃ জেলার হরিরামপুর উপজেলার দাসকান্দি বয়রা গ্রামের মৃত কোরবান আলীর মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১৮) প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বসত ঘরের আড়ার সঙ্গে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে।
শুক্রবার (১৫ জুলাই) দিনগত ১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
মৃত সুমাইয়ার বোন সালমা আক্তার বলেন, মানিকগঞ্জ সদর থানার বাগিয়া (বালিরটেক) গ্রামের কেসমত আলীর ছেলে মোঃ সুমন হোসেন (২২) এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে সুমাইয়া আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং পারিবারিকভাবে উভয় পক্ষই সুমাইয়া এবং সুমনের বিবাহ দেবেন বলে সম্মত হয়। উভয়পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা আলোচনাও হয় এবং উভয় পক্ষই সম্মত হয় যে ঈদুল আজহার পরে বিবাহ হবে। কিন্তু ছেলের বাবা মো: কেসমত আলী দুই লক্ষ টাকা দাবি করেন অথবা সুমনকে আগামী এক বছরের মধ্যে বিদেশে পাঠাতে হবে বলে শর্ত আরোপ করেন। সুমন হোসেন গত ১৪ জুলাই সন্ধ্যায় সুমাইয়াদের বাড়িতে এসে সুমাইয়া ও তার ভাই-বোনদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সুমন তার বাবার শর্ত পুনর্ব্যক্ত করেন। এরপর (১৫ জুলাই) রাত ১টার দিকে মোঃ সুমন হোসেন সুমাইয়ার বোন সালমা আক্তার (২৬) এর মোবাইল ফোনে, ফোন করে জানায় যে সুমাইয়া গলায় ফাঁস নিয়েছেন।
বোন আরও জানান, সুমাইয়ার লাশ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলতে দেখে চিৎকার করি এবং বাড়ির অন্যান্য লোকজন এগিয়ে আসে। সুমাইয়াকে হরিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, মৃত্যুর সময় সুমাইয়ার কানে হেডফোন ছিল এবং সুমাইয়ার মোবাইল ফোন সুমাইয়ার পায়ের কাছেই ছিল। সুমাইয়া সুমনকে ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ বিষয়ে হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সৈয়দ মিজানুর ইসলাম মুঠোফোনে জানান, এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা চলমান। লাশটিকে ময়নাতদন্তে পাঠানোর ব্যবস্থা চলছে বলে জানান তিনি।
সাকিব আহমেদ/এমবুইউ