ঢাকাঃ সাভারের আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকার হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার হত্যার ঘটনার পাঁচদিন পর ক্লাসে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক হত্যার দায়ে ঘাতক জিতুকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির এক জরুরি সভায় জিতুকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এরপরই শনিবার (২ জুলাই) সকালে ক্লাসে ফেরে শিক্ষার্থীরা।
অধ্যক্ষ শিক্ষক সাইফুল হাসান বলেন, ‘জিতু ওই ছাত্রীর কাছে হিরো সাজতে শিক্ষক উৎপল কুমারকে পিটিয়ে হত্যা করে। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে উঠে এসেছে। হত্যাকাণ্ডে ওই ছাত্রীর যোগসূত্র থাকতে পারে। তাই এক মিটিংয়ে তাকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে।’
ওই ছাত্রী বহিষ্কারের বিষয়টি কলেজের নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘গত ২৫ জুন শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে স্টাম্প দিয়ে নৃশংসভাবে আঘাত করা হলে পরদিন মারা যান। এ ঘটনায় পুলিশি তদন্ত ও আসামির জবানবন্দিতে ওই ছাত্রীর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এই মুহূর্তে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে তাকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এর আগে শিক্ষক উৎপল কুমার হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার দশম শ্রেণির ছাত্র জিতুকে শুক্রবার (০১ জুলাই) স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জুন দুপুরে হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে শিক্ষক উৎপলকে ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে আঘাত করেন ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র জিতু। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সোমবার (২৭ জুন) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সোয়া ৫টার দিকে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় উৎপল কুমারের ভাই বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন। ২৮ জুন রাতে আশুলিয়া থানা পুলিশ জিতুর বাবা উজ্জ্বল হাজীকে কুষ্টিয়া এবং বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) মূল অভিযুক্ত আশরাফুল ইসলাম জিতুকে গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। গ্রেফতার আসামিদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এদিকে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার নিহতের ঘটনায় পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজে পাঠদান শুরু হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ৭টা থেকে প্রাথমিক শাখার এবং বেলা ১১টায় মাধ্যমিক ও কলেজ শাখার পাঠদান শুরু হয়।
এমবুইউ