হবিগঞ্জঃ জেলার চুনারুঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুতের বিভ্রাট ভেলকিবাজি। এ যেন কোনোভাবেই থামছে না পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং। গত বুধবার ঝড়, বৃষ্টি ও সাথে বজ্রপাত হওয়ায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে। এতে বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে পড়ে পুরো উপজেলা। আর কদিন ধরে বৃষ্টিপাতে শহর ও গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় বেড়েছে লোডশেডিং।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌরশহরে কিঞ্চিৎ মাত্র বিদ্যুৎ থাকলেও পৌরসভার বড়াইল গ্রাম, গুচ্ছ গ্রাম, পশ্চিম পাকুড়িয়া, গোগাউড়া, আমকান্দি, ধলাইপাড়, চন্দনা ও চাটপাড়া, গাভীগাঁও, মিরাশি, রানীগাঁও, গনেশপুর, পাইকপাড়াসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের বিভ্রাট ভেলকিবাজি। গত চারদিন ধরে বিদ্যুৎ নেই। মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করলেও এমন পরিস্থিতিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন জনসাধারণ। বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করা হলে তাদের অজুহাত ঝড় -বৃষ্টির কারণেই বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাদের এমন আচরণের প্রতিকার চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম 'ফেইসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সচেতন মহল।
পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের অনেকে সাথে আলাপকালে জানা যায়, ঝড় -বৃষ্টি ছাড়াই চুনারুঘাট পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ থাকে না। একবার বিদ্যুৎ গেলে আসার কোনো খবরেই থাকে না। প্রায় সময়েই চুনারুঘাট পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করে বিদ্যুৎ আনতে হয়। অনেক সময় তারা বিরক্ত হয়ে যোগাযোগ বিছিন্ন করে দেন। যদি আকাশে একটু মেঘ বা বিদ্যুৎ চমকায় তা হলেই চলে যায় বিদ্যুৎ। যেদিন ঝড়-বৃষ্টি হয়, সেদিন বিদ্যুতের আশা ছেড়ে দিতে হয় চুনারুঘাটবাসীকে। তার উপর কিছুক্ষণ পরপর বিদ্যুতের ভেলকিবাজি। এ যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিবার ত্রিশ থেকে চল্লিশ মিনিট করে লোডশেডিং হচ্ছে। প্রতিদিনই গড়ে ৩-৪ বার করে বিদ্যুৎ যাচ্ছে। চলতি মাসেও ১২ থেকে ১৪ বার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটেছে চুনারুঘাট পল্লী বিদ্যুতে। সব মিলিয়ে প্রায় এই মাসে ১২ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ ছিল না। স্থানীয় ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ নানা পেশার লোকজন জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে চুনারুঘাট পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ শুরু করেছে তামাশা। তবে
পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোন কাজই হচ্ছে না। উল্টো ৩৩ কেভি (পাওয়ার স্টেশন) ডিফল্টের কথা শুনিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষভয়াবহ লোডশেডিং কখনো ৩ ঘন্টা, কখনো ৬ আবার কখনো কখনো ৯ ঘন্টাও স্থায়ী হয়। প্রচন্ড গরমে এই লোডশেডিং যেন চুনারুঘাটবাসীর নাভিশ্বাস ফেলছে।
চুনারুঘাট পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম জুনায়দুর রহমান বলেন, লোডশেডিং নেই ! তবে ঝড় ও বাতাসে শাহাজীবাজার বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৩৩ কেভি (পাওয়ার স্টেশন) ডিফল্টের বিকল হয়ে গেছে। বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ লাইনের উপর গাছ ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎ সাময়িক সময়ের জন্য বিছিন্নছিল, পরে স্বাভাবিক করে দেয়া হয়।
শংকর শীল/এমবুইউ