Dr. Neem on Daraz
Victory Day

মধ্যরাত থেকে সাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে


আগামী নিউজ | উপজেলা প্রতিনিধি, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২২, ০৪:২৬ পিএম
মধ্যরাত থেকে সাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে

পটুয়াখালীঃ আজ বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে সাগরে মাছ ধরার উপড় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা। প্রতিবছরই সামুদ্রিক মাছের বাঁধাহীন প্রজনন ও সংরক্ষনে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে মৎস্য বিভাগ। বছরজুড়ে ইলিশের আকাল তার উপর নিষেধাজ্ঞায় অনেকটা হতাশা প্রকাশ করেছে জেলেসহ মৎস্য আড়তদার ব্যবসায়ীরা। তবে এবছর কাঙ্খিত ইলিশ ধরা না পড়ায় অনেকে জেলেই পেশা পরিবর্তনের কথা জানিয়েছেন। মৎস্য ভিত্তিক অর্থনীতির সুরক্ষায় এসব জেলেদের পেশা পরিবর্তন রোধে খাদ্য সহায়তার পরিমান বৃদ্ধিসহ আর্থিক সহায়তা প্রদানের দাবী জানিয়েছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। এছাড়া নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে ভারতীয় জেলেদের আগ্রাসন রোধেও কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

স্থানীয় সূত্র ও সরেজমিনে গিয়ে ঘুরে দেখা যায়, ইতিমধ্যেই অধিকাংশ ট্রলার মহিপুর ও আলীপুর মৎস্য বন্দরে এসে পৌঁছেছে। এসব ট্রলারের অনেকে তীরে ছেড়া জাল তুলছেন। অনেকেই ট্রলার মেরামতের জন্য ডগে তুলেছেন। কেউ আবার আড়ৎ ঘাটে লম্বা করে জাল সাজাচ্ছে সেলাই করার জন্য। তীরে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে এসব জেলেদের অনেকেই ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে।

সাগর থেকে ফিরে এমবি রাহাত ট্রলারের সবুর মাঝি জানায়, সাগরে তেমন মাছ নেই। তাই আগে-ভাগেই ট্রলার নিয়ে তীরে ফিরে এসেছি। কিছু ছেড়া জাল রয়েছে। এসব জাল সেলাই করতে ৮ থেকে ১০ দিন সময় লাগবে। তারপর বেকার সময় পার করতে হবে। সরকার আমাদের যে চাল দিবে তা পেতে অনেক সময় লাগবে। এছাড়া চাল তুলনামূলকভাবে খুবই কম। এ প্রনোদনা দিয়ে সংসার চালানো কষ্ট হয়ে দাঁড়াবে। তাই অন্য কাজ করতে হবে।

কে এম সোরাব ট্রলারের মাঝি সান্টু হাওলাদার জানান, আমাদের যে প্রনোদনা দেয় তা অবরোধের শুরুতে পেলে অনেকটা সুবিধা হতো। আমরা এ অবরোধকালীন সময়ে মাছ ধরা বন্ধ রাখলেও পাশ্ববর্তী দেশের জেলেরা আমাদের জলসীমানায় ঢুকে মাছ ধরে নিয়ে যায়। তাই সরকারকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জোর অনুরোধ জানাচ্ছি।

কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি ও লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, জেলেদের প্রনোদনা বাড়ানোসহ নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে গভীর সমুদ্রে প্রশাসনের টহল বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি। যাতে পার্শ্ববর্তী দেশের জেলেরা এদেশের জলসীমানায় প্রবেশ করতে না পারে।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানায়, এ অবরোধের পর সাগরে কাঙ্খিত ইলিশ ধরা পড়ার আশা প্রকাশ করছি। এ নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে কর্মহীন ইলিশ শিকারী সরকার নিবন্ধিত ১৮,৩০৫ জন জেলেকে দুই ধাপে ৮৬ কেজি করে চাল প্রদান করা হবে। মৎস্য বিভাগ নিষেধাজ্ঞাকালীন সময় সাগরে অভিযান চালাবে বলেও তিনি জানান।

রাসেল কবির মুরাদ/এমএম

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে