কুষ্টিয়া দৌলতপুরে শিশু অপহরণ মামলায় বেদেনা খাতুন ওরফে লিমা (৩৮) নামে এক নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। লিমা দৌলতপুর উপজেলার খলিশাকুণ্ডি পূর্ব মণ্ডলপাড়া গ্রামের চাঁদ আলীর কন্যা।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করে। এ সময় আদালতে আসামি উপস্থিত ছিলেন।
এই মামলায় অন্য তিন আসামি ঠেকারী খাতুন, চাঁদ আলী ও আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় খলিশাকুণ্ডি গ্রামের ছমির আলীর স্ত্রী বিনা খাতুন তার ছয় মাস বয়সী শিশুপুত্র কর্ণকে ঘরের বারান্দায় শুইয়ে রেখে গৃহস্থালির কাজে বাড়ির বাইরে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় আসামি বেদেনা খাতুনসহ অপর তিন সহযোগীর যোগসাজশে কর্ণকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। এই ঘটনায় শিশুর বাবা ছমির আলী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আইনে বেদেনা খাতুনসহ চারজনের নামোল্লেখসহ দৌলতপুর থানায় মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৩০ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) আব্দুল হালিম জানান, দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামি বেদেনা খাতুনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবনসহ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। একই মামলায় অভিযুক্ত অন্য তিন আসামি ঠেকারী খাতুন, চাঁদ আলী ও আব্দুর রশিদ নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
আগামী নিউজ/জেএইচ/এসএম/এনএনআর