কুড়িগ্রামঃ জেলার সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নে ভালোবাসার টানে দিশা রানী সেন (২০) নামের এক কলেজ ছাত্রী হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে এরশাদুল হক (২৫) নামের মুসলিম এক যুবকে বিয়ে করেছেন।
ওই ছাত্রী যাত্রাপুর ইউনিয়নের ঘনেশ্যামপুর গ্রামের দিলীপ কুমার সেনের মেয়ে। বর্তমানে তার নাম জান্নাতুল ফেরদৌসী রজনী। এদিকে ছেলে একই ইউনিয়নের দোয়ালী পাড়া গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে।
জানা গেছে, দিশা রানী সেন ধমান্তরিত হয়ে এভিডেভিডটের উল্লেখ করেছেন জেনে বুঝে ও স্বজ্ঞানে তিনি হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে মুসলিম হয়েছেন। পরে গত ২৯ মার্চ কোটে ঘোষনা দিয়ে ধর্মান্তরিত হন এবং একই দিনে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে মুসলিম ছেলের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। স্থানীয় ইমামের হাত ধরে পবিত্র কালেমা পড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন ও দুই লাখ টাকা দেনমোহরের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়েছে।
মুঠোফোনে এরশাদুল হক বলেন, দিশা রানী সেন (জান্নাতুল ফেরদৌস রজনীর)' গত ৭-৮ বছর আগে তার সাথে আমার পরিচয়। পরিচয় হওয়ার পর থেকেই অনেকরবার আমাদের ইসলামের বিষয়ে জানতে চায় সে। এভাবেই আস্তে আস্তে আমার দুজনের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।
এরশাদুল হক আরও বলেন, সে ইসলামকে ভালোবেসেই মুলত হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করছে। সে এখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পরছে রোজা রাখছে। আমিও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পরছি রোজা রাখছি। দোয়া করবেন আমরা দুজন যেন সারাজীবন একসাথে থাকতে পারি ও ইসলামিক বিধান মানতে পারি।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ আইয়ুব আলী সরকার ওই কলেজ ছাত্রী হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম হয়ে বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জাহাঙ্গীর আলম/এমএম