সিলেটঃ টিপ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় সিলেট জেলা পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে বদলি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দফতরের এক আদেশে তাকে সিলেট থেকে রংপুরে বদলি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) লুৎফুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে এআইজি শাহজাদা মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক আদেশে পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে রংপুর রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে। আদেশে তাকে জনস্বার্থে বদলির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তের জন্য জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন পুলিশ সুপার। এরপর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে সোমবার (৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে প্রত্যাহারের (ক্লোজড) আদেশ দেন সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন। একই দিনগত রাতে তাকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছিল।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে লিয়াকত আলী টিপ নিয়ে ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসে নারীর পোশাক নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য এবং টিপ ইস্যুতে প্রতিবাদকারী পুরুষদের নিয়ে নেতিবাচক কথা বলেন তিনি।
টিপ নিয়ে ফেসবুকে লিয়াকত আলী লিখেছেন, ‘টিপ নিয়ে নারীকে হয়রানি। ফালতু ভাবনা, টিপ নিয়ে নারীকে হয়রানি করার প্রতিবাদে অনেক পুরুষ কপালে টিপ লাগাইয়া প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কিন্তু আমি ভবিষ্যৎ ভাবনায় শঙ্কিত। বিভিন্ন শহরে অনেক নারী যেসব খোলামেলা পোশাক পরে চলাফেরা করেন, তার মধ্যে অনেকের অন্তর্বাস ওপর দিকে প্রায় অর্ধেক আন-কাভার থাকে। পাতলা কাপড়ের কারণে বাকি অর্ধেকও দৃশ্যমান থাকে। এখন যদি কোনও পুরুষ এভাবে অন্তর্বাস পরার কারণে কোনও নারীকে হয়রানি করে তবে কি তখনও আজকে কপালে টিপ লাগানো প্রতিবাদকারী পুরুষরা একইভাবে অন্তর্বাস পরে প্রতিবাদ করবেন?’
এ বিষয়ে লিয়াকত আলী দাবি করেছেন, ‘আমি কাউকে আঘাত করে স্ট্যাটাস দিইনি। একটি চক্র স্ট্যাটাসকে নিয়ে আমাকে হেনস্তা করছে। তবে আমার প্রতিবাদের ভাষা আরও মার্জিত হতে পারতো। আসলে এমনটি হবে আমি চিন্তাও করিনি।’
এমএম