বগুড়াঃ জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার শেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে ঢুকে পাঠদানরত শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারভুক্ত আসামী মাহমুদ কলিকে (৩৬) আটক করা হয়েছে।
আটককৃত মাহমুদ কলি দুপচাঁচিয়া উপজেলার শেরপুর উত্তরপাড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।
পুলিশ বলছে, রোববার ( ৩ এপ্রিল) সকালে আদমদীঘি উপজেলার নসরতপুর গ্রাম থেকে আদমদীঘি থানা পুলিশের সহযোগিতায় হামলাকারী মাহমুদ কলিকে আটক করা হয়।
বিদ্যালয়সূত্রে জানা গেছে, ৩০ মার্চ (বুধবার) শেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে পাঠদান করাচ্ছিলেন সহকারি শিক্ষক আয়েশা খাতুন। এসময় আকস্মিকভাবে ক্লাসরুমে ঢুকে অভিভাবক মাহমুদ কলি ছাত্রদের লাঠিপেটা করতে শুরু করে। শিক্ষক আয়েশা খাতুন লাঠিপেটায় বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করতে শুরু করে। পরে ওই শিক্ষক দৌড়ে অফিস কক্ষে আশ্রয় নিলে সেখানেও গিয়েও তার ওপর হামলা করে অভিভাবক মাহমুদ কলি।
হামলার ঘটনা অনুসন্ধান করতে গেলে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, মাহমুদ কলির সন্তান শেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। ক্লাস শুরুর পূর্বে তার সন্তানের সাথে সহপাঠিদের মারামারি হয়। মাহমুদ কলির সন্তান বাড়িতে গিয়ে বাবার কাছে অভিযোগ করলে সে রাগান্বিত হয়ে তার সন্তানের সহপাঠিদের মারতে ক্লাসে প্রবেশ করে এবং লাঠিপেটা করতে শুরু করে। সহকারি শিক্ষক বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকেও হামলা করে অভিভাবক মাহমুদ কলি।
দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানায়, হামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের ৩ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ রোববার (৩ এপ্রিল) আটক মাহমুদ কলিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
দেওয়ান পলাশ/এমএম