নীলফামারীঃ শত প্রতিকূলতাকে চ্যালেঞ্জ করে সরকারের রাজস্ব আদায়ে ঈর্ষণীয় সাফল্য বয়ে এনেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর ভূমি অফিস। অর্থ বছর শেষ হওয়ার চার মাস আগেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা হয়েছে। চলমান অর্থ বছরে সৈয়দপুর পৌর ভূমি অফিসকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছিল ৪৩ লাখ টাকা। এ অর্থ বছরের ছয় মাসে (ডিসেম্বর পর্যন্ত) আদায় হয়েছিল মাত্র ১৩ লাখ টাকা। সে সময়ে ওই অফিসের দায়িত্বে ছিলেন পৌর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এমদাদুল হক। ওই সময়ে অফিসে জনবল সংকটও ছিল না। বর্তমানে প্রয়োজনীয় জনবলের চেয়ে অর্ধেক জনবল রয়েছে। তারপরেও জানুয়ারী ও ফেব্রুয়ারী মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩০ লাখ টাকা।
অর্থ বছর শেষে কমপক্ষে আরো ৪০ লাখ টাকা আদায় হতে পারে বলে পৌর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. আমিন হোসেন জানান। তার মতে প্রতিটি ভূমি অফিসে একজন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, একজন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তাসহ দুইজন অফিস সহায়ক দায়িত্ব পালন করে। কিন্তু আমি ডিসেম্বর মাসে এই অফিসে যোগদান করার পর কাজের সহযোগী হিসাবে শুধুমাত্র একজন অফিস সহায়ক পেয়েছি। এই অর্ধেক জনবল দিয়েই সরকার ন্যাস্ত দায়িত্ব চরম পেশাদারিত্বের মধ্য দিয়ে পালন করছি। ভূমি মালিকদের সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগ ও সুসম্পর্ক বজায় রেখে যথানিয়মে খাজনা আদায় করছি। অনেক সময় খাজনা আদায় করতে গিয়ে সমাজের কতক প্রভাবশালীদের চোখ রাঙ্গানি জিরো টলারেন্স হিসাবে নেই। অত্যন্ত সততা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছি। প্রভাবশালীদের কবল থেকে সরকারি খাস জমি অবৈধ দখলমুক্ত করতে গিয়ে ব্যক্তিগত রোষানলের শিকার হচ্ছি। তারপরেও দেহের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও সরকারের দায়িত্ব নিষ্ঠা ও প্রজ্ঞার সঙ্গে পালন করতে সদা সচেষ্ট থাকছি।
তিনি আরো বলেন, দায়িত্ব নেয়ার দুই মাসের মধ্যে ২৭৮টি এসএফ তথা তথ্য বিবরণীর রিপোর্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দিয়েছি। কোন ফাইল টেবিলে আটকা থাক এমনটি কখনও চাইনি। প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী হয়ে জনগণের সেবক হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে আমি সব সময় বদ্ধপরিকর। তবে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুপ্রেরণা অব্যাহত থাকলে যে কোন কঠিন কাজও আমি অনায়াসে করতে পারব বলে আশা রাখছি।
জিকরুল হক/এমএম